গাজায় ইসরায়েলের চালানো হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়ার মসজিদের মুসল্লিরা সমাবেশে শরিক হন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ হতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল আরম্ভ হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হয়।
সময় শিক্ষার্থীদের বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো, জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, বয়কট বয়কট ইসরায়েল বয়কট, আমরা সবাই রাসূল সেনা ভয় করি না বুলেট বোমা, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে নুরুজ্জামান নামের এক মুসল্লী বলেন, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীরা নিরাপরাধ গাজাবাসীর ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়ে মৃত্যুপূরীতে পরিণত করেছে। এর সমাধান কোথায়? মুসলিম জাতি বসে আছে কেন? এর জবাব দিতে হবে না? মুসলিম উম্মাহকে এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফতে ছাত্র মজলিস ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ বলেন, যুদ্ধ বিরতির সময়ে মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ওআইসির কাছে প্রশ্ন করতে চাই- আপনারা কেন গঠিত হয়েছেন? যদি আপনারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে নাম পরিবর্তন করে ফেলুন। মুসলিম জনতাকে এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, আমরা দেখেছি নেতা নিয়াহু হামলা চালিয়ে বললো- এটা হামলা শুরু। আমি বলে দিতে চাই- আপনার দৃষ্টিতে এটা হামলা শুরু হতে পারে তবে দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলে দিতে চাই- এটা হামলা শুরু নয় বরং আপনাদের পতনের শুরু। আপনাদের থেকে ফেরাউন অনেক শক্তিশালী ছিল, তারাও ধ্বংস হয়েছিল। আপনাদের ধ্বংস অনিবার্য। আমি বিশ্ব নেতার প্রতি বলতে চাই- আল্লাহর গজব আসার আগে আপনারা সাবধান থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ইসলামের পক্ষে থাকার তাওফিক দিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশকেও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারত। উভয় গণহত্যার পিছনে ভারত সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে সেটা প্রমাণিত। আমরা দেখতে পাই- বাংলাদেশে আওয়ামী পুনর্বাসনের প্রশ্নে সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী দোসর আর নেতা নিয়াহু একই সূত্রে গাঁথা। এই সমাবেশে সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার ও চুপ্পুর পদত্যাগ চাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম