ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০% জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত বাতিল করা সহ ছয় দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা।
এই পদোন্নতি কারিগরি শিক্ষার মানকে নষ্ট করবে এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে “নন-টেকনিক্যাল ক্রাফট হটাও, কারিগরি শিক্ষা বাঁচাও” স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, এই আন্দোলনে দেশের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তারা সংহতি প্রকাশ করছে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তারা বলেন, নন-টেকনিক্যাল ক্রাফট নিয়োগ বাতিল করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মান রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। অযোগ্য ও অনুপযুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করা চলবে না। এই বিতর্কিত পদোন্নতির ফলে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা কারিগরি শিক্ষাকে দুর্বল করবে। দেশ গড়ার হাতিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার! ক্ষমতার হাত ভেঙে দাও, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও!” আমাদের দাবি মানতে হবে, কারিগরি শিক্ষাকে রক্ষা করতে হবে!
যতক্ষণ না তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা সমস্ত পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করবে। যদি দাবি পূরণ না হয়, তবে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১ম থেকে ৭ম সেমিস্টার পর্যন্ত সকল বিভাগের উভয় শিফটের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
যত দ্রুত সম্ভব এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখা হোক বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
কাফি