ক্যাটাগরি: জাতীয়

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধার দাবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ন্যায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা প্রদানের দাবি বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের। এই সুবিধা দিতে গত ২০২০ সালে বিগত সরকারের নিকট আবেদন করেছিলো সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। তবে কোনো সুফল পায়নি তারা।

বুধবার (১২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রবাবর এবিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ সচিবালয়সহ সারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবীনামা পেশ এবং ন্যয্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। এ পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লব এবং আত্মত্যাগের বিনিময়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিনের সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে আপনার নেতৃত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেশন এবং ওএমএস পন্য সরবরাহের পরিধি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর সুবিধা সারা বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী কার্যাবলিসহ প্রজাতন্ত্রের সকল কার্যক্রম সচিবালয় থেকে সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুচারুভাবে এ সকল কার্যাদি সম্পাদন করে থাকেন। এ সকল কার্যসম্পাদনে বিভিন্ন সময়ে ছুটিরদিনসহ অফিস সময়ের পরেও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এ জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত আর্থিক কোন সুবিধা অর্থাৎ রেশন কিংবা সচিবালয় ভাতা দেয়া হয় না। পক্ষান্তরে, বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থার প্রায় ৮ লক্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রেশনের পাশাপাশি বিশেষ ঝুঁকিভাতাও পাচ্ছেন (সংলাগ- ১)। ফলে, তাদের সাথে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দুদকের ন্যায় ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা প্রদানের জন্য বিগত ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলাম। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ৩৭০নং স্মারকে জানানো হয়, বর্তমান অর্থবছরে করোনা মহামারিজনিত কারণে খাদ্যশস্যের বিলি বিতরণ বেশি হয়েছে। এছাড়া, এ বছর মজুত পরিস্থিতি আশানুরুপ নয় বিধায় আবেদনটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই” (সংলাগ-২)। এ পত্র প্রাপ্তির পর ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল প্রদানের পর প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হলেও আর কোন বেতনস্কেল জারি না হওয়ায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্বল্প আয়ের সচিবালয়ের কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থার কর্মচারীদের সাথে সচিবালয়ের কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনকল্পে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় ন্যায্যমূলে রেশন সুবিধা প্রদানে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার