ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. ওয়ালিউর, গ্রন্থাগারিক মজিদ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রশাসনিক দুই পদে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে ড. ওয়ালিউর রহমান এবং গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পেয়েছেন খন্দকার আব্দুল মজিদ।
শনিবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশে এ নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জনানো হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত অফিস আদেশ সূত্রে, মো. আবুল কালাম আজাদ কে তাঁর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ অপরাহ্ণ হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। তিনি তাঁর মূল পদ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে যোগদান করবেন। অন্যদিকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার ড. মো. ওয়ালিউর রহমান কে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
এদিকে গ্রন্থাগারিক সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, মোছা: শাহনাজ বেগম কে তাঁর গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ অপরাহ্ণ হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। তিনি তাঁর মূল পদ উপ- গ্রন্থাগারিক পদে যোগদান করবেন। অন্যদিকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার খন্দকার আব্দুল মজিদ কে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
তারা উভয় বিধি মোতাবেক এই পদের সকল সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ উপাচার্যের কার্যালয়ে ত্রিমুখী হট্টগোলের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পরিবহন প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। পাশাপাশি প্রশাসনিক এ গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি-সমমানের পরীক্ষায় বসছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ। গতবার ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আজ রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির এ তথ্য তুলে ধরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি, প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন, ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৬) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী ও ইউজিসির একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাতটি সরকারি কলেজ হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
প্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ণসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠে নামেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি জানান, সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক করেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি। আগ্রহী ব্যক্তিরা ইউজিসির এই info@ugc.gov.bd ই-মেইল ঠিকানায় নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আজ ইউজিসির ডাকা মতবিনিময় সভায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে ১ দিনের ছুটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে রোববার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে ছুটির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সব প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।
এর আগে, গত ৬ মার্চ দুপুরে ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ পড়ে যান আরেফিন সিদ্দিক। পরে তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক হয়েছে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
প্রসঙ্গত, আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন গত ৭ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

মাগুরায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই আট বছর বয়সী শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে সন্তপ্ত পুরো বাংলাদেশ। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র জনতার হাতে আইন তোলে নেয়ার আগে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার করুন। অন্যথায় ছাত্র সমাজ বিচার করতে বাধ্য হবেন। আমরা এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আগের স্বৈরাচার সরকারের সময় ধর্ষককে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার করে দিতো। কিন্তু এই বর্তমান সরকারে কাদের সরকার? ২ হাজার শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা বসেছেন। জনগণের সেন্টিমেন্ট না বুঝলে বা বিচার করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন। বিচার কার্যালয়ে বিচার না করে একজন দুইজনকে জনসম্মুখে শাস্তি দিতে পারলে আমাদের মনে হয় এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী প্রায় ষোলো বছর যাবৎ পতিত স্বৈরাচার যে সিস্টেম চালু করেছে তার মাধ্যমে আমার প্রায় পঞ্চাশ হাজারের উপরে বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিন্তু তৎকালীন সরকার তার কোনো সুরাহা করেনি এবং কোনো বিচার নিশ্চিত করেনি। আমরা দেখেছি কিভাবে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ঢাকার বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক সায়েম সোবহান আনভীর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আমাদের বোন মুনিয়া। তখন যদি আমরা প্রতিবাদের ভাষা জারি করতে পারতাম, যদি আমরা বিচার নিশ্চিত করতে পারতাম, তৎকালীন সরকারের যদি স্বদিচ্ছা থাকতো, তাহলে আছিয়ার মতো আমাদের বোনদের এ পরিণতি হতো না।
তিনি আরোও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগের সময়ে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল তা থেকে যদি আমরা বের হতে না পারি তাহলে আমাদের জুলাই স্পিরিট ব্যাহত হবে। ইন্টেরিম সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে পুরো বাংলাদেশকে বের করে নিয়ে আসা। আমরা আহ্বান রাখতে চাই যে, আছিয়া ধর্ষণে যারা অভিযুক্ত তাদেরকে যতদিন না শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে ততদিন আমরা মাঠ ছাড়বো না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা সাতদিনের মধ্যে আছিয়া ধর্ষণকান্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ইবিতে দোল উৎসব উদযাপন

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘দোল পূর্ণিমা’ বা হোলি উৎসব পালিত হয়েছে। রমজান মাসের পবিত্রতার কথা মাথায় রেখে ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে স্বল্প পরিসরে তারা এ উৎসব পালন করেছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) আবিরের রঙে রঙিন হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রাঙ্গণ।
এছাড়া দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত মন্দিরে ঘট স্থাপন’সহ পূজার কার্যাদি সম্পন্ন হয়। এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় একে-অপরে আবিরের রঙ মাখিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন তারা। এছাড়া উৎসব উপলক্ষে মন্দিরে পূজা অর্চনা, প্রসাদ বিতরণ ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয় বলে জানা গেছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুর্য্য বলেন, আমরা রঙ এর মাধ্যমে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। স্বল্প পরিসরে যেহেতু-আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনান্য শিক্ষার্থী নাই। সেজন্য স্বল্প পরিসরে আমরা পূজাটা সম্পূর্ণ করলাম আজকে। যথেষ্ঠ উৎসব মূখর পরিবেশে আছি। সবাই অনেক আনন্দ করে পূজা শেষ করলাম। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পূজা চলুক, চলমান থাকুক। ছুটির জন্য, সবথেকে বড় ব্যাপার রমজান মাস এজন্য শিক্ষার্থী সংখ্যা কম। যেহেতু রমজান মাস, রমজান মাসের পবিত্রতার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়েছে কারণ আমাদের ও যেমন ধর্ম পালন তাদেরও রমজান মাস একটা সম্মান দেওয়ার ব্যাপার। আরও আজকে জুম্মার দিন দুপুর বেলা নামাজের একটা ব্যাপার থাকে, সব মিলিয়ে, সবদিক খেয়াল করে স্বল্প পরিসরে পূজাটা করার চেষ্টা করেছি। তার থেকে বড় ব্যাপার, আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা খুবই কম সবাই বাড়িতে এবং যারা আছি সবাই অংশ গ্রহন করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ রায় বলেন, আমরা আজ সারা দিনব্যাপী প্রার্থনা ও উৎসব আয়োজন করেছি। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। তবে ক্যাম্পাসে অবস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় সবাই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। খুব সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এবছর যেহেতু রমজান মাস চলছে তাই আমরা একটু ছোট পরিসরে এবছরের উৎসব আয়োজন করেছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম