‘ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার ২০২৪’ এর সমাপনী আয়োজন

সম্ভব জবস ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে ‘ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার ২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হলো।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সম্ভবের হেড অফিসে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফিনালে ১৮টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা ছয়টি দলে বিভক্ত হয়ে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান করেন।

এতে বিচারক প্যানেলে ছিলেন শপআপের চিফ অফ স্টাফ মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া, সম্ভব টেকনোলজিসের সিইও রিফাদ হোসেন, ইউনিভার্সিডের মো. রেফাত-উল-হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের সহযোগী অধ্যাপক শিন্দিয়ানি এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ আহমেদ জে ইউসুফ।

দেশের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ইউনিসেফের পাসপোর্ট টু আর্নিং প্রকল্পের অংশীদারত্বে সম্ভব জবসের আয়োজনে ২০২৪ সালের নভেম্বরে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশব্যাপী রোডশোর মাধ্যমে শুরু হয়, যেখানে ক্যারিয়ার উন্নয়নমূলক সেশন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ইউনিসেফের পাসপোর্ট টু আর্নিং প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্ত হন। মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরা ১ হাজার জন নির্বাচিত হন, যারা তাদের সম্প্রদায়ের নারীদের ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। কঠোর যাচাই-বাছাই শেষে শীর্ষ ৩০ জন শিক্ষার্থী ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

প্রতিযোগিতা নিয়ে সম্ভব টেকনোলজিসের সিইও রিফাদ হোসেন বলেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে, তা অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক।

শপআপের চিফ অফ স্টাফ মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, এই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্মশক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

বিজয়ী দলকে মোট ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়াও, শীর্ষ পাঁচ প্রতিযোগী সম্ভব টেকনোলজিসে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, সম্ভব টেকনোলজিস ও ইউনিসেফ যৌথভাবে তাদের অংশীদার নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে ১ হাজার জন শিক্ষার্থীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়াম তুন নেশা মিমি বলেন, ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার ২০২৪ আমার আত্মবিশ্বাস ও ক্যারিয়ারের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাবরিনা আফরিন বলেন, আমরা যে মেন্টরশিপ ও অভিজ্ঞতা পেয়েছি, তা সত্যিই অমূল্য।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোলমান মিয়া বলেন, এই প্রতিযোগিতা ক্যারিয়ার বিকাশের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে।

সম্ভব টেকনোলজিস ও ইউনিসেফের পাসপোর্ট টু আর্নিং কর্মসংস্থান ও শিক্ষার মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার