ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুললো উ. কোরিয়া

করোনা মহামারির কারণে পাঁচ বছর বিরতির পর প্রথমবারের মতো পর্যটকদের জন্য দরজা খুললো উত্তর কোরিয়া। এরই মধ্যে প্রবেশ করেছেন একদল বিদেশি পর্যটক। গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার একদল পর্যটক ছাড়া আর কোনো বিদেশি দেশটিতে প্রবেশ করেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প পুনরায় চালু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশটি প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে চাইছে, যা পিয়ংইয়ংয়ের সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।

২০২০ সালের প্রথম দিকে মহামারি শুরুর পর দ্রুত পর্যটক নিষিদ্ধ, কূটনীতিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ এবং সীমান্ত চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করে কিম জং উন প্রশাসন। তবে ২০২২ সাল থেকে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পাশাপাশি সীমান্ত খুলে দিতে শুরু করে পিয়ংইয়ং।

এদিকে যেকোনো যুদ্ধ মোকাবিলায় শক্তিশালী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চায় উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির সামরিক একাডেমি পরিদর্শনকালে এই কথা বলেন সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তবে কিমের এমন উদ্যোগ রাশিয়ায় আরো সেনা পাঠানোর প্রস্তুতির অংশ হতে পারে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।

স্থানীয় সময় বুধবার উত্তর কোরিয়ার একটি সামরিক একাডেমি পরিদর্শন করেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এ সময় যেকোনো যুদ্ধ মোকাবিলায় শক্তিশালী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার কথা জানান তিনি। চলতি সপ্তাহে অভিজাত ক্যাডার প্রশিক্ষণের ইল সুং ইউনিভার্সিটি অব পলিটিক্সসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন কিম।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শিক্ষা খাতে জোর দিয়েছেন কিম জং উন। বিশেষ করে শিক্ষার পাশাপাশি অস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি। কিমের প্রত্যাশা, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি আধুনিক যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবে।

উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার পেছনে রুশ যুদ্ধে আরো সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়ার দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে রাশিয়ার জন্য হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে কিম সরকার।

তাই কিমের এই পরিকল্পনাকে রাশিয়ায় সামরিক ইউনিট ও প্রশিক্ষণের জন্য আরও সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি অংশ হতে পারে বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার