দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা। ফলে এই গম আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আট লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির’ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
আমদানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৫০ হাজার টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। চারটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের মেসার্স অ্যাস্টন অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসএ এই গম সরবরাহ করবে।
প্রতি টন গমের দাম ২৯৫.২১ মার্কিন ডলার হিসাবে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৮০ কোটি ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি গমের ক্রয় মূল্য ৩৬ টাকা ২ পয়সা।