কক্সবাজার-ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের মৌলিক জীবনযাত্রার মান এবং স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকা উন্নত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান সরকার।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী একটি বিনিময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানায়, জাপান এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মানবিক সেবা জোরদার করতে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেG ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে জাপান সরকারের অবদান শরণার্থীদের পর্যাপ্ত আবাসন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।
জাপান-ইউএনএইচসিআর-এর যৌথ প্রকল্পটি বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের উপর চাপ কমাতে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে। উন্নত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরবরাহ সংগ্রহ এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি ভাসানচর এবং কক্সবাজারে শরণার্থীদের জীবন উন্নত করবে। এটি ১২ মাস ধরে বাস্তবায়িত হবে এবং আশা করা হচ্ছে এটি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সেবা প্রদানে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, এই প্রকল্পটি ভাসানচর এবং কক্সবাজারে শরণার্থীদের কল্যাণ ক্ষমতায়ন এবং উন্নতিতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের উপর চাপ কমাবে। জাপান এই মানবিক সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ইউএনএইচসিআরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
সুম্বুল রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি জাপানের সমর্থন বাংলাদেশি জনগণ এবং তাদের আশ্রয়দানকারী সরকারের প্রতি ইউএনএইচসিআর কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল, তাই জাপান সরকার এবং তার জনগণের এই সংহতি এবং সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।