Connect with us

অন্যান্য

রাশেদের কাছে খোলা চিঠি…

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

প্রিয় রাশেদ,

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সম্ভবত, আমার এই লেখাটি তুমি পড়তে পারবেনা। শুধু তুমি নও, তোমার সতীর্থদের যাদের কথাই আমি লিখতে যাচ্ছি- তাদের কেউই হয়তো আমার এই বাক্যগুলোতে অন্তত চোখ বুলিয়ে নেওয়ার সুযোগটুকুও পাবেনা। কেনো পাবেনা সেই প্রশ্ন সময়ের জবাবের জন্য তোলা থাক। তবুও, আজ অন্তত কিছু লিখার জন্য নিজের অন্তরাত্মার ভিতর থেকে বড্ড তাড়না অনুভব করছি।

তোমাদের একজন স্যার আছেন না? মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল। সেদিন উনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। বলেছিলাম, ‘মহামতি জাফর স্যার, কোটা আন্দোলনের ‘রাশেদ’ কেনো আপনার বন্ধু নয়?’
দেখো, আমার প্রশ্নটা হয়তো অনেকেই বুঝতে পেরেছে আবার অনেকেই পারেনি। যারা আমার সেদিনকার প্রশ্নটি বুঝতে পারেনি, তাদের জন্য একটু খোলাসা করার চেষ্টা করছি।

আমরা একটা ‘জাফর ইকবালীয়’ বলয়ে বড় হয়েছি। জাফর ইকবাল ছিলেন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। প্রকৃতি জুড়ে যেমন বায়ুর উপস্থিতি, আমাদের কাছে জাফর ইকবালও ছিলেন সেরকম। এখনকার কিশোররা ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান দেখে দেখে বড় হয়। বিশ্বাস করো- আমরা বড় হয়েছি জাফর ইকবালকে দেখতে দেখতে। জাফর ইকবালকে পড়তে পড়তে। ‘সুপার হিরো’ বলতে যা বোঝায়, এককথায় জাফর ইকবাল আমাদের কাছে ঠিক সেরকম ছিলেন। আমাদের ছোটোবেলাকার স্বপ্ন, কিশোরবেলার ‘নায়ক’ মানুষটা যুবকবেলার ‘খলনায়ক’ বনে যাবেন, সে কথা আমরা কখনো কল্পনাতেও ভাবিনি।

এই যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্প, এই গল্প তো আমরা জাফর ইকবালদের মুখ থেকেই শুনেছি। তাঁর তৈরি করা চলচ্চিত্র ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এর কথা মনে আছে? রাশেদ নামের সেই কিশোরটার কথা যে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার সাহসিকতা আমাদের সাহসের পারদকে কতোটা উঁচুতে যে নিয়ে গিয়েছলো তা তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। চলচ্চিত্রের অন্তিমলগ্নে যখন রাজাকার বাহিনী রাশেদের চোখ বেঁধে তাকে বধ্যভূমিতে গুলি করে হত্যা করে- সেই দৃশ্য দেখে বুকের ভিতরটা হুঁহুঁ করে উঠেছিলো বারংবার। সেই কিশোরবেলায় ভাবতাম,- আহা! যদি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ হতো! আমিও হয়ে উঠতাম রাশেদ! একটি বিপ্লবী চরিত্র!
যে জাফর ইকবাল কিশোরবেলাতেই আমার মধ্যে বিপ্লবী হয়ে উঠার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে দিতে পারে, সেই জাফর ইকবাল মানুষকে কতোটা প্রভাবিত করতে পারে, ভাবো তো?

কল্পনায় জাফর ইকবাল ‘রাশেদ’ কে এঁকেছেন। তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অধিকারের পক্ষে সংগ্রামী একটি চরিত্রে চিত্রায়িত করেছেন সুদক্ষভাবে। জাফর ইকবালের এই মুন্সিয়ানার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, তোমাদের মতো বাস্তবের রাশেদরা যখন অধিকারের জন্য লড়াই করতে গিয়ে, সংগ্রাম করতে গিয়ে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে, আওয়াজ তুলতে গিয়ে মার খায়, গ্রেফতার হয়, হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়, নির্যাতিত হয়, ঠিক তখন জাফর ইকবালরা কি করে জানো? বিশ্বকাপের গল্প করে।

এই যে নুরুদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে, হাসপাতালে তাদেরকে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেনা, এই যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরিকুলের কথাই ধরো। কি বেড়দক পেটানোটাই না পেটালো ছেলেটাকে। হলুদ গেঞ্জি পরা একটা ছেলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের হাঁড় দু’টুকরো করে দিয়েছে। এক্স-রে রিপোর্টে আসা ছবিটা দেখে মনে হচ্ছিলো একটা গাছের শুকনো ডালকে দু’অংশে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। কি অমানবিক, ভাবতে পারো?
এই তরিকুল কি আর কোনদিন সোজা হয়ে হাঁটতে পারবে? এই তরিকুল কি আর কোনদিন হেঁটে ক্যাম্পাসে আসতে পারবে? এই তরিকুল আর কোনদিন বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে পারবে? এই তরিকুলকে নিয়ে তার মায়ের যে স্বপ্ন ছিলো, তার কি হবে? তার ছোট্ট বোনের আবদার, তার বাবার দাবি, সেসবের কি হবে?

ঢাবির যে মেয়েটার গায়ে হাত দেওয়া হলো, যে মেয়েটাকে নির্যাতন করা হলো, ট্যাক্সিতে তুলে নিয়ে তার সাথে পশুর মতো আচরণ করা হলো, হলত্যাগ করতে বাধ্য করা- কোনকিছুর কি আদৌ বিচার হবে?
আমাদের জাফর ইকবাল স্যাররা কি এসব দেখেন? তাদের কাছে কি এসব খবর পৌঁছায়?

হ্যাঁ। তাদের কাছে এসব পৌঁছায়। রাশেদ, স্যারের কাছে তোমার সেই চিৎকার ‘আমাকে ডিবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আমাকে বাঁচান’ ঠিকই পৌঁছেছে। মার খেতে খেতে শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে লুটিয়ে পড়া নুরুর আর্তচিৎকারও পত্রিকা মারফত তাঁর কাছে চলে গেছে। হাঁতুড়ির আঘাতে দু’ভাগ হয়ে যাওয়া পায়ের হাঁড় নিয়ে তরিকুলের গোঙানি স্যারের কাছে না পৌঁছাক, তার এক্স-রে রিপোর্টের ভাইরাল ছবিও সম্ভবত তাঁর কাছে পৌঁছে গেছে। স্যারের কাছে পৌঁছেছিলো নির্যাতিতা মেয়েটার কান্নার শব্দ, পায়ের রগ কেটে ফেলা মেয়েটার আর্তনাদ।

কিন্তু জানো রাশেদ, এসবের কোনোকিছুতেই আমাদের স্যারের ঘুম ভাঙেনি। উনার ঘুম ভেঙেছে কিসে জানো? উনার বাসার পাশে অবস্থিত মহিলা হোস্টেলের মেয়েদের ফুটবল দেখার উন্মাদনায়। তারা যখন আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচের উত্তেজনাকর সময়গুলোতে গোলের সাথে সাথে ‘গোললললললল’ বলে লাফিয়ে আকাশ-বাতাস এক করে দিচ্ছিলো, সেই চিৎকারে স্যারের ঘুম ভেঙেছে। স্যার এটা নিয়ে কলাম লিখেছেন আজ। শিরোনাম ‘বিশ্বকাপ’।

সেই কলামে আমাদের স্যার ব্যাপকভাবে দেশপ্রেম জাহির করেছেন। কেনো আমাদের দেশে এত্তোগুলো ভিনদেশি পতাকা উড়বে এই ভাবনাটাই এই মুহূর্তেই স্যারের কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তোমরা মার খাচ্ছ, জেলে যাচ্ছো, হাঁতুড়ির আঘাতে দু টুকরো হয়ে পড়ছে তোমাদের পায়ের হাঁড়, ভুলুন্ঠিত হচ্ছে বোনদের ইজ্জত-আব্রু। সেই চিৎকার, সেই আর্তনাদে কিন্তু স্যারের ঘুম ভাঙেনি এবং ভাঙেওনা।

ও হ্যাঁ রাশেদ, তোমাদের প্রতি স্যারের ভীষণ দয়া এবং করুণা আছে। জানো সেটা কি? এই যে তোমরা যারা অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছো, তোমাদের কাউকে যদি উনি চাকরির ইন্টারভিউ কক্ষে পান, সেদিন তিনি তোমাদের দেখে তোমাদের গায়ের উপর হড়হড় করে বমি করে দেবেন।

রাশেদ, কি ভাগ্য আমাদের, তাইনা? আমরা এমন একজনকে ভাবতে ভাবতে, দেখতে দেখতে, পড়তে পড়তে বড় হয়েছি যিনি আমাদের দেখলেই হড়হড় করে বমি করে দেবেন। রাশেদ, চলো আমরা শৈশব আর কৈশোরের স্মৃতিগুলো ভুলে যাই। সেই ঘুম পাড়ানি গল্প, সেই আবেগ এবং আবেশের গল্প, সেই মহাকাশের মহাকাল সর্বস্ব কল্পকাহিনীও। আমরা এখন যুবক। আমাদের এখন শত্রু-মিত্র সনাক্ত করতে হবে। এই শত্রুদের চিনিয়ে দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে। আমরা চাইনা আমাদের আগামী প্রজন্মও তাদের শৈশব-কৈশোরে মনের মধ্যে এমন একজনকে লালন করতে করতে বেড়ে উঠুক যে আগাগোড়া একটা দালাল, কপট এবং ভন্ড। শপথ নাও রাশেদ, এই দালালদের আর কখনোই আমরা বন্ধু ভাববো না। এরা আমাদের বন্ধু না।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য

হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি সামিট অনুষ্ঠিত

Published

on

গতকাল হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি ২০২৩ সামিট। ফিউশন ইনফোটেকের সাথে যৌথভাবে এই সামিটের আয়োজন করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। ক্লাউড প্রযুক্তির সক্ষমতা এবং এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করতে এই সামিটের আয়োজন করা হয়।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

এই খাতের প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ, ক্লাউড প্রফেশনাল এবং গ্রাহক প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা ক্লাউড প্রযুক্তির শক্তি এবং এ সংক্রান্ত উদ্ভাবন প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ পান। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা সহযোগীদের (পার্টনার) নিয়ে তৈরি করা ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখেন। ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ক্লাউড প্রযুক্তির সীমাহীন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। হুয়াওয়ে ক্লাউড কীভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং নিজ-নিজ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. শাজাহান আহমেদ। এই সম্মেলনে তিনটি অংশ (প্লেনারি সেশন, ক্লাউড সেশন এবং রিওয়ার্ড এন্ড রিকগনিশন) ছিল। মূল অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স লি এবং ফিউশন ইনফোটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিশান আহমেদ মূল বক্তব্য প্রদান করেন। তারা প্রযুক্তিগত রূপান্তর, বর্তমান পরিস্থিতি এবং ক্লাউড ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ফিউশন ইনফোটেকের এসএপি ডেলিভারি প্রধান রাজীব ইমরান হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি’র ব্যবহারিক দিক বর্ণনা করেন এবং কীভাবে এসএপি ব্যবহারকারী গ্রাহকরা এই ক্লাউড পরিষেবার মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ অপ্টিমাইজেশন নিশ্চিত
করতে পারবে তা ব্যাখ্যা করেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভিপি অ্যালেক্স লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচনে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউডের মাধ্যমে ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ক্লাউড ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করার ধরনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউড সুবিধা প্রদান করার মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগের উপর রিটার্ন (আরওআই) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি।’

ফিউশন ইনফোটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিসান আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রবণতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ খাতকে আরও গতিশীল করে তুলতে যথাযথ নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ও ফিউশন ইনফোটেক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। নিঃসন্দেহে, ক্লাউডই ভবিষ্যৎ এবং সৌভাগ্যক্রমে হুয়াওয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উন্মোচন করা সম্ভব।’

এসএপি ডেলিভারি প্রধান, ফিউশন ইনফোটেকের রাজীব ইমরান বলেন, ‘এসএপি ও হুয়াওয়ের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা রয়েছে এবং এ সহযোগিতার পরিসর আরও বাড়ছে। দু’টি প্রতিষ্ঠানই হাই-পারফরমেন্স ও ফলাফল- ভিত্তিক সমাধানের উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করছে, যা শিল্প খাতজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অভুতপূর্ব প্রবৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে। এসএপি ও হুয়াওয়ে- উভয় প্রতিষ্ঠানই উদ্ভাবন ও নির্দিষ্ট খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী এন্ড-টু-এন্ড সল্যুশন-ভিত্তিক মডেল তৈরির লক্ষ্য কাজ করছে। আমি আজ এখানে উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের কার্যক্রমগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্লাউড সেবায় হুয়াওয়ে যে উদ্ভাবন নিয়ে আসছে, সেটার বিভিন্ন দিক সবার তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত।’

অনুষ্ঠান চলাকালে, ইফাদ ও ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (এইচডব্লিউসি এসএপি গ্রাহক) প্রতিনিধিগণ হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সকলের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়। যার ফলে সকলেই ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কিত ব্যবহারিক কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান পান। সেশনের পরে, একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে অ্যালেক্স লি হুয়াওয়ে ক্লাউড বাংলাদেশের সহযোগীদের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি এসএপি। এসএপি বিভিন্ন কার্যকরী ডেটা প্রসেসিং ইনফরমেশন ফ্লো ব্যবস্থাপনায় কাজ করে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ক্লাউড খাতে হুয়াওয়ে ক্লাউড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং ক্লাউড সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে, হুয়াওয়ের সহযোগীদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য ক্লাউডের ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে হুয়াওয়ে ক্লাউড।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

ইউরো: আরও অনেক দেশের ভবিষ্যত মুদ্রা

Published

on

মানবজাতির ইতিহাসে এমন পরীক্ষা কখনো হয়নি৷ ইউরোপের একাধিক দেশ স্বেচ্ছায় নিজস্ব মুদ্রা ত্যাগ করে একক মুদ্রা গ্রহণ করে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ২৫ বছর আগে ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রা হিসেবে ইউরো চালু করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন করা হয়৷ এরপর ১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি সদস্য দেশে ‘অদৃশ্য’ মুদ্রা হিসেবে সমান্তরালভাবে ইউরো চালু হয়৷ ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারি প্রথম ইউরো ব্যাংক নোট ও পয়সা হিসেবে সেন্ট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেইসঙ্গে সদস্য দেশগুলির জাতীয় মুদ্রা লোপ পায়৷ বর্তমানে ইইউ-র ২০টি দেশে এই মুদ্রা চালু আছে৷ ৩৪ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ এই মুদ্রা ব্যবহার করছেন৷

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বুধবার সন্ধ্যায় জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক – ইসিবি-র রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়৷ ব্যাংকের বর্তমান প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ এ দিন ২০টি সদস্য দেশের সংবাদপত্রে ব্যাংকের সাফল্য তুলে ধরেন৷ ইউরো এলাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইসিবি-র ভূমিকার উপর জোর দেন তিনি৷ অনেক বছর ধরে সেই মাত্রা কম থাকার পর বর্তমানে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারে রাশ টানতে ইসিবি উদ্যোগ নিলেও অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি৷ তবে সেই মাত্রা দুই শতাংশে ফিরিয়ে আনতে সূদের হার বাড়ানোসহ সব রকম পদক্ষেপ নেবার অঙ্গীকার করেন লাগার্দ৷

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রোব্যার্তা মেৎসোলা এবং ইইউ সরকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল ইসিবি-র জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ শলৎস ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রাকে ইউরোপীয় সমন্বয়ের সবচেয়ে সফল প্রকল্পগুলির অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেন৷ তার মতে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘স্থিতিশীলতার নোঙর’ হিসেবে কাজ করছে৷ ভবিষ্যতে আরও দেশ অভিন্ন মুদ্রা হিসেবে ইউরো গ্রহণ করবে বলে শলৎস আশা প্রকাশ করেন৷

ইউরোপীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ইউরো মুদ্রা ও ইসিবি-র ভূমিকার প্রশংসা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক কম নেই৷ কারণ ২০টি দেশে অভিন্ন মূদ্রা চালু হলেও সে সব দেশের আর্থিক ও অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে কোনো সমন্বয়ের বাধ্যবাধকতা এখনো নেই৷ ফলে প্রায়ই স্বার্থের সংঘাত দেখা যায়৷ বিশেষ করে ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণের দেশগুলির মধ্যে মৌলিক নীতি নিয়ে মতবিরোধ বার বার সমস্যা সৃষ্টি করে৷

ইউরো মুদ্রার এমন অন্তর্নীহিত দুর্বলতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ইসিবি-র ভূমিকা বার বার প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ বিশেষ করে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে ইউরো-র স্বার্থ রক্ষায় পরিস্থিতি সামল দিতে ইসিবি যেভাবে জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে, তা আর্থিক বাজার স্থিতিশীল করতেও সাহায্য করেছে৷ বিশেষ করে ২০১২ সালে ইউরো এলাকায় সংকটের সময়ে ইসিবি-র তৎকালীন প্রধান মারিও দ্রাগি ‘ওয়াটএভার ইট টেকস্’ শীর্ষক ভাষণে যে কোনো মূল্যে ইউরো বাঁচানোর অঙ্গীকার করে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন৷ তবে অসময়ে সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে ইসিবি-র কিছু ভুলত্রুটি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে৷

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

জবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তিন ঘন্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

রোববার (২১মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সহকারী প্রক্টর শাহনাজ পারভীন।

কমিটির আহবায়ক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠনের বিষয়ে আজ আমি চিঠি পেয়েছি। আগামীকাল থেকে এ নিয়ে কাজ শুরু করব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করব।

গত মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে হলের ১২ তলায় ১২০৩ নং রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাফসা বিনতে নূরের উপর নির্যাতন করে একই হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থীরা হলেন- তন্বী, ইশিতা, ফাল্গুনী আক্তার, নিনজা শিকদার, ইরা ও নাজমুন নাহার স্বর্ণা। জানা যায় অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

এ ঘটনার পরদিন (১৭ মে) হল প্রভোস্টের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দেয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিজেদের রুমের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাফসা বিনতে নূরের সাথে জুনিয়র রুমমেট রেবেকা খাতুনের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে রেবেকা খাতুন হলের অন্য রুমের মেয়েদের নিয়ে এসে রুম আটকে হাফসাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করে। প্রায় তিন ঘন্টা যাবৎ নির্যাতনের পর হাফসা বিনতে নূর অজ্ঞান হয়ে যায়।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

বেপজায় ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

Published

on

চীনা কোম্পানি জিবিন টেকনোলজি (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি স্যু এক্সেসরিজ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সোমবার (১৫ মে) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং জিবিন টেকনোলজি (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উ সুয়েলি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এসময় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসিসহ বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, সদস্য (অর্থ) নাফিসা বানু, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. ফজলুল হক মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

জিবিন টেকনোলজি (বিডি) বার্ষিক ৬০ লাখ পিস স্যু এক্সেসরিজ যেমন, আউটসোল, মিডসোল, ইনজেকশন পার্টস, ব্যাকস্টে, হিপ ক্লিপ, টো ক্যাপ, স্পোর্টস স্পাইক, ইভিএ, পিইউ ফোম, পিইউ কম্পোনেন্ট প্রভৃতি উৎপাদন করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল বেপজার সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ১১৩৮.৫৫ একর জমির ওপর স্থাপিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে একটি কর্মচঞ্চল শিল্প এলাকায় পরিণত করতে জিবিন টেকনোলজি (বিডি)-সহ মোট ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করল বেপজা। এই প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রচলিত তৈরি পোশাকসহ বৈচিত্র্যময় নানা পণ্য উৎপাদন করতে মোট ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা স্থগিত

Published

on

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পর্ষদ সভা স্থগিত করা হয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, আজ (রবিবার) বিকাল ৩টায় ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত পর্ষদ সভা স্থগিত করেছে কোম্পানিটি। পরবর্তী পর্ষদ সভার তারিখ পরবর্তীতে জানাবে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement
June 2023
SMTWTFS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930