জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন ডরপ যুব ফোরামের সদস্যরা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি, ঢাকা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডরপ যুব ফোরাম।
সেগুলো হলো- অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা। তামাকপণ্যের প্রচার বন্ধে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা। তামাকপণ্যের সব ধরনের খুচরা ও খোলা বিক্রি বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
মানববন্ধনে যুব প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের ৪৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ, অথচ তামাক কোম্পানির কূটকৌশলের শিকার হয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ এরই মধ্যে ধূমপানে আসক্ত। শিশু-কিশোরদের লক্ষ্য করে তামাকপণ্য আকর্ষণীয় মোড়কে বিক্রয়কেন্দ্রে প্রদর্শন করা হয়, যাতে তারা কৌতূহলী হয়ে আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। খুচরা শলাকা বিক্রির সুযোগ থাকায় টিফিনের টাকা দিয়েই কিশোররা তামাক কিনতে পারছে। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে লাখ লাখ তরুণ ধ্বংস হবে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস করে তরুণদের এই প্রাণঘাতী আসক্তি থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডরপ ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ডরপ বর্তমানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা এবং তামাক কর ও মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে কাজ করছে। সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।