সিলেটে শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ

সিলেটের এম. সি কলেজে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আওয়ামীপন্থীদের নৈরাজ্যের আশংকায় প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। একইসাথে আওয়ামী দোসরদের বিচার ও তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনায় তাদের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এ বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সমবেত হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীরা।

এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, ইয়াসিরুল কবীর, তানভীর মন্ডল’সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ” সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আওয়ামী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব স্থাপনা তাদের নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। এই দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যেমন বিনা ভোটে এমপি তৈরি করেছিল তেমনিভাবে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী তৈরি করেছিল। যারা ১৮ সালের নির্বাচন এবং ২৪ এর গণহত্যাকে বৈধ করার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল যেমন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাফর ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবায়েদ আরেফিন সিদ্দিকী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম বেশ কিছু শিক্ষক ছিল যারা এ গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। ইসলামী বিদ্যালয়ের কেন ইউজিসির দিকে তাকিয়ে থাকবে? দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত ষোল বছরের শ্বেতপত্র কেনো এখনো ঘোষণা করতে পারেনি? অনতিবিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ষোল হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিগত ষোল বছরের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আপনারা জানেন বিপ্লবে আমাদের বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে, ইসলামী বিদ্যালয়ের শাপলা ফোরাম নামের একটি সংগঠন তাদের নেতৃত্ব কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যাকে উসকে দিয়ে ছিলো তারা এখনো কিভাবে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম! আপনারা একেকদিন একেক দলের সাথে মিটিং করেন কিন্তু আপনারা ভুলে যান, আমার ষোলোশত ভাই বোনের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন।অনতিবিলম্বে আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যাস্থা গ্রহণ করুন। গতকাল কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ছাত্রদল কতৃক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আহত হয়েছিল। আজ এমসি কলেজে যে হামলা হয়েছে। গণমাধ্যমে সূত্র জানতে পেরেছি এমসি কলেজে শিবির নাকি অভিযোগ আছে। এখানে ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন যেই দলেরই হোক না কেন! তারা অপরাধী, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।

অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার