কুয়েটের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে এসে সমবেত হয়।
এ সময় তাদের,”কুয়েটে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই”, ” দিয়েছিতো রক্ত আরো দিব রক্ত, এই রক্ত কোনো দিনো পরাজয় মানে না”, “সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও” স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইবি সংসদের সহ সভাপতি সাদীয়া মাহমুদ মিম বলেন, কুয়েটের মত জাতীয় পর্যায়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হামলা হয়েছে, যে সহিংস আচরণ শিক্ষার্থীদের সাথে করা হয়েছে তা অত্যান্ত নেক্কার জনক। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ও এর সাথে জড়িত সকল রাজনৈতিক অরাজনৈতিক বা যেই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওত্তায় আনা হয়। সকল ছাত্র সমাজ ও সকল জনতার মনে যেন এই শাস্তি যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে থাকে।
ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, খুলনা প্রকোশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা হাসপাতালে জীবনযাপন করছে। সংগ্রামী ভাইয়েরা সন্ত্রাসীদের এটা প্রমাণ করে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও আমরা স্বাধীনতা পায়নি। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যারা পরিচালনা করেছে এবং যারা মদদদাতা অতিশীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গতকাল দিনভর কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর কি নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে জানতে পেরেছি ছাত্রদল এই হামলা চালিয়েছে। এছাড়া আরো দেখেছি স্থানীয় যুবদলকে হামলার অংশীদার হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আমার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোতে অস্ত্রের রাজনীতি এখন থেকে শুরু নয়, আমরা অতীতে শিবির, ছাত্রদলের হাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও সর্বশেষ ছাত্রলীগ বিগত ১৬ বছরে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির নাম নিয়ে ছাত্র রাজনীতিকে যে কলঙ্কিত করেছে এর দায়ভার ছাত্রলীগ কোনোভাবে এড়াতে পারে না। আমরা ক্যাম্পাসের আর অপরাজনীতি দেখতে চাই না। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি কুয়েট আগামী আটাশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে এরকম দেখতে চাই না যে কোন ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের কারণে ক্যাম্পাস একদিনের জন্য বন্ধ হোক। সর্বশেষ কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটার সুস্থ তদন্ত দাবি করছি এবং জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং কোন ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি যেন আধিপত্য বিস্তার না করতে পারে তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি