প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় অগ্রাধিকার পাওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ডিজিটালাইজেশন খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে এ খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে।
প্রেস সচিব বলেন, আইসিটি এবং ডিজিটালাইজেশন খাত নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকগুলো দুনীতি-অনিয়মের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আর্থিক খাতের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন। চারশ পাতার এই শ্বেতপত্র অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে। এটি সংগ্রহে রাখার মতো। কীভাবে বিগত সরকারের আমলে লুটপাট হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণসহ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে। ঠিক একই রকম আরেকটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে আইসিটি খাত নিয়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর দেখা গেছে শেখ হাসিনা কী করেছেন। এরপর তাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একটি চাপ তৈরি হবে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া টুডের একটি জরিপেও উঠে এসেছে ৫৫ শতাংশ ভারতীয় চান শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হোক। বর্তমান সরকার চায় তাকে স্বশরীরে দেশে এনে বিচার করতে। বাংলাদেশের মানুষও সেটা দেখতে চায়। এটা সরকারেরও অগ্রাধিকার। আওয়ামী লীগের যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, যারা গুম-খুনে জড়িত, যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিচার হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করছে ১৯৭১ সালের পর এমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কখনও ছিল না। আমরা কাউকে কখনো বলিনি এই রিপোর্টটা নামান। ওই রিপোর্টটা দিয়েন না। আমরা চাই সাংবাদিকরা সব ধরনের রিপোর্ট করুক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।