টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। ভোর থেকে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে আসছেন মুসল্লিরা। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
শনিবার দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান। আজ ফজরের পরের বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন।
সকাল সাড়ে নয়টায় হেদায়েতের বয়ান শুরু হবে। হেদায়াতি বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তার বয়ান তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতি বয়ানের পর দুপুর বারোটার দিকে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমার এই পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম।
এদিকে তিনদিন ধরে ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিরা সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার বাদ আসর ভারতের মাওলানা মঞ্জুর যৌতুকবিহীন নয়টি বিয়ে পড়ান। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ নিজামুদ্দিন অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালে গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান ময়দানে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের আয়োজনে টানা ৬ দিনব্যাপী প্রথম পর্বের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মাঝে ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।