ক্যাটাগরি: জাতীয়

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের বিবৃতির প্রতিবাদ

বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন নামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। অত্যন্ত অপেশাদার ও ঠুনকো কিছু বিষয় সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনকল্যাণমুখী, দলীয় লেজুরবৃত্তি বিহীন একটি জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। তারই প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বরেণ্য বিজ্ঞজনের সমন্বয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করেছেন। বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডার যারা নিজেদের তথ্য-সাধারণ ক্যাডার নামে পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সার্ভিস জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন, সার্ভিস সম্পর্কে অসত্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।

এধরনের কার্যক্রম নি:সন্দেহে জনপ্রশাসন সংস্কারের মহতী কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত। তাদের আচরণ ও বিবৃতিতে মনে হচ্ছে তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যে প্রক্রিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে তারা এখনো তাদের সেই ‘কমফোর্ট জোন’ ত্যাগ করতে চাচ্ছেন না। তারা নিজেদের সংস্কারে অনিচ্ছুক, তারা ভুলে গেছেন যে সরকারি চাকুরি হলো সরকারের ইচ্ছায় সরকার নির্ধারিত উপায়ে জনগণের সেবা করা, সরকারি চাকুরি মানে তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার নিশ্চয়তা বিধান করা নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সার্ভিস জনমুখী ছিল না। তাদের বিবৃতি সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সেবাবিহীন সিভিল সার্ভিস এবং বিভাজিত সিভিল সার্ভিস এর প্রতিধ্বনি বলেই প্রতিফলিত হচ্ছে।

বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “প্রচার”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সম্প্রচার”। তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা”, “জনসংযোগ” ও “গণযোগাযোগ”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার”। বেতার একটি মিডিয়া হাউজ হিসেবে এ নির্দিষ্ট কাজটিই করবে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা বা জনসংযোগ তাদের কাজ নয়।

প্রকৃত সত্য: এই বিবৃতি প্রায়োগিক ও একাডেমিক (তাত্ত্বিক) উভয় দিক থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। মূল বিষয় হলো- সহকারী পরিচালক/ সমমান (১২১), সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) (১২২) ও সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক (১২৩)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ সরকারের যোগাযোগ তথা তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রচার তথ্য ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুষ্ঠান ও বার্তা উভয় ক্ষেত্রের তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বেতার, যা মূলত একটি ব্রডকাস্টিং (সম্প্রচার) প্রতিষ্ঠান, তার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের কাজ পরিচালনা করেন।

অন্যদিকে, তথ্য ক্যাডারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ন্যারোকাস্ট পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টারি এবং প্রিন্ট মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা সরাসরি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সাংবাদিক এক্রিডিটেশন ব্যবস্থাপনা (তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে), এবং ফিল্ম আর্কাইভের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজও তথ্য ক্যাডারের এ অংশের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ফিল্ম আর্কাইভে প্রকৌশলীরাও কাজ করেন।

অনুষ্ঠান ও বার্তা উপ-গ্রুপের তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা যেমন পেশাদারদের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রচার কন্টেন্ট তৈরি করেন, তেমনি সাধারণ তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর পেশাজীবীদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এছাড়া, এই তিনটি উপ-গ্রুপের কর্মকর্তারা একই ধরনের পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা- যেমন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ইত্যাদিতে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে, তারা প্রেষণ ও সংযুক্তির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেস সচিব, উপ-প্রেস সচিব এবং সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীদের পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও), বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, দুদক, পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, এনবিআর, বিডা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতেও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, পাবলিক রিলেশনস, মিডিয়া রিলেশনস এবং কমিউনিকেশন প্রফেশনাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট কর্মীগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কাজের জন্য বিশেষ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” অনুবিভাগ প্রফেশনাল ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের প্রকৃতি ও বিষয় থেকে যায় আগের মতোই। এভাবে কাজ ও জনবলের মধ্যে ধরনগত ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।”

প্রকৃত সত্য: পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ১২১ (সাধারণ), ১২২ (অনুষ্ঠান), এবং ১২৩ (বার্তা)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ মূলত ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করে। তারা মূলত সরকারের যোগাযোগ কনটেন্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে এবং পেশাজীবীদের মাধ্যমে তা প্রস্তুত করিয়ে নেয়। এছাড়া, ঐতিহাসিকভাবে এই তিনটি গ্রুপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। এমনকি ৯ম বিসিএসের ক্ষেত্রে একইসাথে সার্কুলার প্রকাশিত হয় এবং গেজেট জারি করা হয় এমনকি অদ্যাবধি এই ক্যাডারের তিনটি গ্রুপের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষার সিলেবাসও একই।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” করা হয় (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং এস আর ও নং ৭৬-আইন/২০২১)। এর আগে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাগণ স্বতন্ত্র “সম্প্রচার ক্যাডার” গঠনের উদ্যোগ নেন এবং সে উদ্যোগের ফলেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়।

প্রকৃত সত্য: সময়ের সাথে যুগোপযোগী করে সিভিল সার্ভিস রিফর্ম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ‘সম্প্রচার ক্যাডার’-বিষয়টিও তেমনই একটি প্রস্তাব, যা বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত সকল তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তার অভিমত ছিল না। এটি কেবল কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মতামত। উল্লেখ্য, এ ধরনের আরও অনেক প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে এসেছে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাভাবিক অংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এবং বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” তিনটি গ্রুপের কম্পোজিশন, ক্যাডার রুলস, রিক্রুটমেন্ট রুলস্, ক্যাডার তফসিল, পদনাম ও পদসোপান, কার্যবন্টন এবং পদোন্নতির যোগ্যতা/ শর্তাবলি ও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা।

প্রকৃত সত্য: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন মূলত এই বিষয়গুলো (বিবৃতিতে প্রদত্ত) বিবেচনায় নিয়েই সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সিভিল সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইন হলো সরকারের যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। এই ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তারা একই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একই সিলেবাস অনুযায়ী বিভাগীয় পরীক্ষা দেন। তাই তাদের তিনটি পৃথক গ্রুপে বিভক্ত রেখে কাজ করানো জনস্বার্থ ও সরকারি অর্থের অপচয়ের শামিল। উল্লেখ্য, সিভিল সার্ভিস কাঠামো গঠনের সময় এ ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তাদের আলাদা রাখা হয়নি। সবদিক বিবেচনা করেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনরায় একীভূতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে বিসিএস (সাধারণ তথ্য) ক্যাডারের সাব-ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্যাডারের নাম বিসিএস (তথ্য) এবং বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এর একটি সাব-ক্যাডার। [বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)-সহ কোনো সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারেই “সাধারণ” শব্দটি নামের অংশ নয়। বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারে “সাধারণ (General)” শব্দটি সাব-ক্যাডারের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথাগতভাবে বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” সাব-ক্যাডার/ গ্রুপের নামে সঙ্গে “সাধারণ” শব্দটি ব্যবহার করা যায় না।]

প্রকৃত সত্য: পিএসসির গ্যাজেটে বিসিএস (তথ্য)-এর কোনো সাব-ক্যাডারের নাম উল্লেখ নেই। বিসিএস পরীক্ষার জন্য পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে “সাধারণ ক্যাডারসমূহ/ ক্যাডারের পদ” শিরোনামের টেবিল গ্রুপে শুধুমাত্র “বিসিএস (তথ্য)” ক্যাডারের নাম উল্লেখ থাকে। এর আওতায় ১২১, ১২২ ও ১২৩ ক্যাডার কোড এবং সংশ্লিষ্ট পদের নাম উল্লেখ করা হয়। এই তিনটি গ্রুপে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা বিসিএসের সাধারণ অংশের, তথা “জেনারেলিস্ট” গ্রুপের কমিউনিকেশন ডোমেইন সদস্য। অন্যটি প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডার গ্রুপ যার ক্যাডার কোড-৫৩০ (পদের নাম: সহকারী বেতার প্রকৌশলী)।

বর্ণিত আলোচনায় এটি স্পষ্ট যে ১২১, ১২২ ও ১২৩-এই তিনটি গ্রুপের কর্মপ্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন বলা সত্যের অপলাপ। এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করলে তা অকার্যকর (নন-ফাংশনিং) হয়ে যাবে-এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!

প্রসঙ্গত, বর্তমান বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ঐতিহাসিক লিগ্যাসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে, বৃটিশ আমলে নয়। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সার্ভিস এই ক্যাডার ১৯৬৩ সালে গঠন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি মালিকানাধীন তথ্য মাধ্যমে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলিতে কর্মরত অফিসারদের জন্য চাকরি কাঠামোর ব্যবস্থা করা। ১৯৭০ সালে এই ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে ইনফরমেশন সার্ভিস অব পাকিস্তান (আইএসপি) রাখা হয়। এই ক্যারিয়ারের চাকরি তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংগঠনসমূহ যেমন বেতার ও টেলিভিশনের বিভিন্ন পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনসমূহের পদে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ৯ম বিসিএস পর্যন্ত একইসাথে গেজেটও হয়েছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসহ সরকারের অন্যান্য সকল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে সকল কর্মকর্তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জনপ্রশাসন সংস্কারকে শতভাগ সমর্থন করে সংগঠনটি।

অর্থসংবাদ/কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার