জাতীয়
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের বিবৃতির প্রতিবাদ

বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন নামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। অত্যন্ত অপেশাদার ও ঠুনকো কিছু বিষয় সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনকল্যাণমুখী, দলীয় লেজুরবৃত্তি বিহীন একটি জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। তারই প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বরেণ্য বিজ্ঞজনের সমন্বয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করেছেন। বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডার যারা নিজেদের তথ্য-সাধারণ ক্যাডার নামে পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সার্ভিস জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন, সার্ভিস সম্পর্কে অসত্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
এধরনের কার্যক্রম নি:সন্দেহে জনপ্রশাসন সংস্কারের মহতী কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত। তাদের আচরণ ও বিবৃতিতে মনে হচ্ছে তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যে প্রক্রিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে তারা এখনো তাদের সেই ‘কমফোর্ট জোন’ ত্যাগ করতে চাচ্ছেন না। তারা নিজেদের সংস্কারে অনিচ্ছুক, তারা ভুলে গেছেন যে সরকারি চাকুরি হলো সরকারের ইচ্ছায় সরকার নির্ধারিত উপায়ে জনগণের সেবা করা, সরকারি চাকুরি মানে তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার নিশ্চয়তা বিধান করা নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সার্ভিস জনমুখী ছিল না। তাদের বিবৃতি সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সেবাবিহীন সিভিল সার্ভিস এবং বিভাজিত সিভিল সার্ভিস এর প্রতিধ্বনি বলেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “প্রচার”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সম্প্রচার”। তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা”, “জনসংযোগ” ও “গণযোগাযোগ”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার”। বেতার একটি মিডিয়া হাউজ হিসেবে এ নির্দিষ্ট কাজটিই করবে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা বা জনসংযোগ তাদের কাজ নয়।
প্রকৃত সত্য: এই বিবৃতি প্রায়োগিক ও একাডেমিক (তাত্ত্বিক) উভয় দিক থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। মূল বিষয় হলো- সহকারী পরিচালক/ সমমান (১২১), সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) (১২২) ও সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক (১২৩)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ সরকারের যোগাযোগ তথা তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রচার তথ্য ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুষ্ঠান ও বার্তা উভয় ক্ষেত্রের তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বেতার, যা মূলত একটি ব্রডকাস্টিং (সম্প্রচার) প্রতিষ্ঠান, তার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের কাজ পরিচালনা করেন।
অন্যদিকে, তথ্য ক্যাডারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ন্যারোকাস্ট পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টারি এবং প্রিন্ট মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা সরাসরি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সাংবাদিক এক্রিডিটেশন ব্যবস্থাপনা (তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে), এবং ফিল্ম আর্কাইভের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজও তথ্য ক্যাডারের এ অংশের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ফিল্ম আর্কাইভে প্রকৌশলীরাও কাজ করেন।
অনুষ্ঠান ও বার্তা উপ-গ্রুপের তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা যেমন পেশাদারদের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রচার কন্টেন্ট তৈরি করেন, তেমনি সাধারণ তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর পেশাজীবীদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এছাড়া, এই তিনটি উপ-গ্রুপের কর্মকর্তারা একই ধরনের পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা- যেমন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ইত্যাদিতে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে, তারা প্রেষণ ও সংযুক্তির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেস সচিব, উপ-প্রেস সচিব এবং সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীদের পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও), বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, দুদক, পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, এনবিআর, বিডা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতেও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, পাবলিক রিলেশনস, মিডিয়া রিলেশনস এবং কমিউনিকেশন প্রফেশনাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট কর্মীগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কাজের জন্য বিশেষ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” অনুবিভাগ প্রফেশনাল ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের প্রকৃতি ও বিষয় থেকে যায় আগের মতোই। এভাবে কাজ ও জনবলের মধ্যে ধরনগত ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।”
প্রকৃত সত্য: পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ১২১ (সাধারণ), ১২২ (অনুষ্ঠান), এবং ১২৩ (বার্তা)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ মূলত ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করে। তারা মূলত সরকারের যোগাযোগ কনটেন্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে এবং পেশাজীবীদের মাধ্যমে তা প্রস্তুত করিয়ে নেয়। এছাড়া, ঐতিহাসিকভাবে এই তিনটি গ্রুপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। এমনকি ৯ম বিসিএসের ক্ষেত্রে একইসাথে সার্কুলার প্রকাশিত হয় এবং গেজেট জারি করা হয় এমনকি অদ্যাবধি এই ক্যাডারের তিনটি গ্রুপের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষার সিলেবাসও একই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” করা হয় (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং এস আর ও নং ৭৬-আইন/২০২১)। এর আগে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাগণ স্বতন্ত্র “সম্প্রচার ক্যাডার” গঠনের উদ্যোগ নেন এবং সে উদ্যোগের ফলেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়।
প্রকৃত সত্য: সময়ের সাথে যুগোপযোগী করে সিভিল সার্ভিস রিফর্ম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ‘সম্প্রচার ক্যাডার’-বিষয়টিও তেমনই একটি প্রস্তাব, যা বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত সকল তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তার অভিমত ছিল না। এটি কেবল কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মতামত। উল্লেখ্য, এ ধরনের আরও অনেক প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে এসেছে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাভাবিক অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এবং বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” তিনটি গ্রুপের কম্পোজিশন, ক্যাডার রুলস, রিক্রুটমেন্ট রুলস্, ক্যাডার তফসিল, পদনাম ও পদসোপান, কার্যবন্টন এবং পদোন্নতির যোগ্যতা/ শর্তাবলি ও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রকৃত সত্য: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন মূলত এই বিষয়গুলো (বিবৃতিতে প্রদত্ত) বিবেচনায় নিয়েই সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সিভিল সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইন হলো সরকারের যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। এই ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তারা একই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একই সিলেবাস অনুযায়ী বিভাগীয় পরীক্ষা দেন। তাই তাদের তিনটি পৃথক গ্রুপে বিভক্ত রেখে কাজ করানো জনস্বার্থ ও সরকারি অর্থের অপচয়ের শামিল। উল্লেখ্য, সিভিল সার্ভিস কাঠামো গঠনের সময় এ ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তাদের আলাদা রাখা হয়নি। সবদিক বিবেচনা করেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনরায় একীভূতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে বিসিএস (সাধারণ তথ্য) ক্যাডারের সাব-ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্যাডারের নাম বিসিএস (তথ্য) এবং বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এর একটি সাব-ক্যাডার। [বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)-সহ কোনো সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারেই “সাধারণ” শব্দটি নামের অংশ নয়। বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারে “সাধারণ (General)” শব্দটি সাব-ক্যাডারের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথাগতভাবে বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” সাব-ক্যাডার/ গ্রুপের নামে সঙ্গে “সাধারণ” শব্দটি ব্যবহার করা যায় না।]
প্রকৃত সত্য: পিএসসির গ্যাজেটে বিসিএস (তথ্য)-এর কোনো সাব-ক্যাডারের নাম উল্লেখ নেই। বিসিএস পরীক্ষার জন্য পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে “সাধারণ ক্যাডারসমূহ/ ক্যাডারের পদ” শিরোনামের টেবিল গ্রুপে শুধুমাত্র “বিসিএস (তথ্য)” ক্যাডারের নাম উল্লেখ থাকে। এর আওতায় ১২১, ১২২ ও ১২৩ ক্যাডার কোড এবং সংশ্লিষ্ট পদের নাম উল্লেখ করা হয়। এই তিনটি গ্রুপে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা বিসিএসের সাধারণ অংশের, তথা “জেনারেলিস্ট” গ্রুপের কমিউনিকেশন ডোমেইন সদস্য। অন্যটি প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডার গ্রুপ যার ক্যাডার কোড-৫৩০ (পদের নাম: সহকারী বেতার প্রকৌশলী)।
বর্ণিত আলোচনায় এটি স্পষ্ট যে ১২১, ১২২ ও ১২৩-এই তিনটি গ্রুপের কর্মপ্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন বলা সত্যের অপলাপ। এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করলে তা অকার্যকর (নন-ফাংশনিং) হয়ে যাবে-এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!
প্রসঙ্গত, বর্তমান বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ঐতিহাসিক লিগ্যাসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে, বৃটিশ আমলে নয়। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সার্ভিস এই ক্যাডার ১৯৬৩ সালে গঠন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি মালিকানাধীন তথ্য মাধ্যমে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলিতে কর্মরত অফিসারদের জন্য চাকরি কাঠামোর ব্যবস্থা করা। ১৯৭০ সালে এই ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে ইনফরমেশন সার্ভিস অব পাকিস্তান (আইএসপি) রাখা হয়। এই ক্যারিয়ারের চাকরি তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংগঠনসমূহ যেমন বেতার ও টেলিভিশনের বিভিন্ন পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনসমূহের পদে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ৯ম বিসিএস পর্যন্ত একইসাথে গেজেটও হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসহ সরকারের অন্যান্য সকল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে সকল কর্মকর্তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জনপ্রশাসন সংস্কারকে শতভাগ সমর্থন করে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/কাফি

জাতীয়
দেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১২ লাখ

বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গীকার’ বিষয়ক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া আর এক অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব বলেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক সুরক্ষার মূল ভিত্তি হলো মাতৃত্ব সুরক্ষা। বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন সুবিধার আইনি কাঠামো থাকলেও বাস্তবায়নে বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। ‘বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন বিমা প্রকল্পের রোডম্যাপ তৈরি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা। শ্রম সচিব জানান, কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন বিমা চালুর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন বিমা প্রবর্তনের মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মাতৃত্বকালীন সুবিধার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে একটি টেকসই রোডম্যাপ প্রণয়নে মতামত দেন।
বাংলাদেশে আরএমজি ও অন্যান্যখাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ও স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মশালার সুপারিশমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাতৃত্ব সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গিকার’ বিষয়ক সংলাপে সচিব বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস)-২০২২-এর তথ্য উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, যে বয়সে শিশুদের স্কুলে থাকার কথা, সেখানে তারা লেদ মেশিন, হোটেল কিংবা গ্যারেজে কাজ করছে। দারিদ্র্য ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবই এটির মূল কারণ।
তিনি সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রম নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয়
২০২৬ সালের হজে অংশ নিতে এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান

২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন চেয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) এজেন্সিগুলোকে আবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ বা টাইমলাইন প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেসব হজ এজেন্সি ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেসব হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছ থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুত করা নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। এরপর সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের হজচুক্তি হবে ৯ অক্টোবর। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার।
জাতীয়
শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা

শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে। আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা গতকাল (রোববার) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছি আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা শেষ করে। আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক। আলোচনাটা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। দফাওয়ারি আমাদের সঙ্গে যারা নেগোশিয়েশনে যুক্ত ছিলেন তাদের ৩৫-৪০ জনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছি। অবশ্য এ পরামর্শগুলো আমরা আমাদের মধ্যেই নির্দিষ্ট রাখব। আমরা আশা করছি এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জন্য একটি যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ করবে রপ্তানির ওপরে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করি। ২০১৫ সাল থেকে আমরা শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসা করছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এই ব্যবসা করে থাকে। যদি তুলনামূলকভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তৈরি না হয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।
যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে। আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শূন্য’।
নেগোশিয়েশনের কোন পর্যায়ে আমরা রয়েছি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আলোচনা করি। আমাদের তো আশা আছে এটাকে (শুল্কহার) শূন্যতে নিয়ে আসা। তবে এ বিষয়ে আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ রয়েছে। সুতরাং অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেব না।
জাতীয়
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেলেন শেখ মইনউদ্দিন

রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করে সোমবার (১৪ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি এখন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে প্রধান উপদেষ্টা গত ৫ মার্চ শেখ মইনউদ্দিনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন।
আগের আদেশের মতো রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জাতীয়
মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে।
সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক কারবারিদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মাদক ঢুকে পড়ছে। মাদক নির্মূলে কক্সবাজারের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স হবে না। এ ছাড়া মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি গ্রহণের মতো অপরাধ কেউ করলে ক্ষমা করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল হাফিজ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি