ক্যাটাগরি: জাতীয়

ক্রীড়াক্ষেত্রের মাধ্যমে উরুগুয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার আহ্বান

ক্রীড়াক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে উরুগুয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত উরুগুয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত আলবার্তো এ. গুয়ানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত গুয়ানি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, উরুগুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক সম্ভাবনাময় সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে, যা এখনো অনাবিষ্কৃত এবং যা উভয় দেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে।

বাংলাদেশ সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রদূত, যা প্রশংসনীয়, বলেন রাষ্ট্রদূত।

উরুগুয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে উল, সয়াবিন এবং কৃষিজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে। যদিও রপ্তানির পরিমাণ এখনো তুলনামূলকভাবে কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের দ্বিগুণ হারে প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।

রাষ্ট্রদূত গুয়ানি কৃষি, উৎপাদন, সেমি কন্ডাক্টর, ইউএভি/ড্রোন, স্যাটেলাইট এবং তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত বিশেষায়িত প্রযুক্তি হস্তান্তরের মতো খাতগুলোকে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তিনি দক্ষিণ আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলাধুলা, বিশেষ করে ফুটবলের প্রতি আবেগের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উভয় জাতিই খেলাধুলার প্রতি অনুরাগী, বিশেষ করে ফুটবলের প্রতি। আমরা এ মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারি। চলুন, অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমাদের সহযোগিতা বাড়াই।

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান এবং তা উরুগুয়েতে প্রচারের অনুরোধ করেন। তিনি নবায়নযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সহযোগিতার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন, যেটি উরুগুয়ে উৎসাহিত করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও উরুগুয়ে পারস্পরিক প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পারে। বাংলাদেশ উরুগুয়েকে দক্ষ ও তরুণ মানবসম্পদ সরবরাহ করতে পারে। উরুগুয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ও দক্ষতার সহায়তা দিতে পারে।

তিনি আরও পরামর্শ দেন যে, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে পারেন।

সভায় এসডিজি-বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার