ভোজ্যতেলের বাজারে দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পরিশোধিত-অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (রেগুলেটরি শুল্ক) আরোপ করেছে সরকার।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই পণ্য দুটির উপর শুল্ক বসাতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
ওই সুপারিশে বলা হয়, পরিশোধিত, অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান অয়েলের (তেলের) সরবরাহ স্থানীয় মার্কেটে নিশ্চিত করতে রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে।
কমিশন জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ভারতে রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হয়। যে কারণে ট্যারিফ কমিশন ‘স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানিতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ আরোপ’ শিরোনামে প্রতিবেদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে রাইস ব্র্যান অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২০৫ টাকায়।
কমিশন বলছে, দেশে যে ২০টি মিল রয়েছে তাদের মোট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে সাড়ে চার লাখ টন। যদিও এর পুরোটা ব্যবহার হচ্ছে না। এক সময় এ দেশ থেকে এই তেলের কাঁচামাল রাইস ব্র্যান রপ্তানি হতো, যেটা ঠেকাতে রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে। তবে তেল রপ্তানিতে কোনো শুল্ক নেই। যে কারণে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রচুর পরিমাণ রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হচ্ছে।
অন্যদিকে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ভোজ্যতেলের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।