দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যস্ততায় সবার পক্ষে রুটিন মেনে চলা সম্ভব হয় না। আর এতেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। দেশে দিনদিন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগ দানা বাঁধছে।
একে নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই নানা উপায় অনুসরণ করে থাকেন। কেউ ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন, কেউ আবার আটার সঙ্গে বাজরা মিলিয়ে সেই রুটিও খান। আবার অনেকে ভাবেন, রাতে খাবার না খেলে বুঝি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আসলেই কি তাই? রাতে খাবার না খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কতটা লাভ বা ক্ষতির? চলুন, জেনে নিই—
রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সময়মতো খাওয়াদাওয়া খুবই জরুরি। রাতের খাবার না খেলে শরীরে সুগারের লেভেল ওঠানামা করবে। একটা সময়ের খাবার মিস করা মানেই সমস্যা। যার ফলে মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে শরীরে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অনেক সময়ই বলা হয় উপোসের কথা। এর ফলে শরীরে ইনসুলিন ঠিকঠাক কাজ করে। তার মানে এই ডায়াবেটিক রোগীর জন্যই তা লাভজনক হবে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে খালি পেটে থাকা মানেই শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
কী ক্ষতি হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিক রোগীদের কখনোই রাতের খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। বরং খাবারের সময়টা এগিয়ে আনা উচিত। রাতের খাবার ৮টার দিকে খেয়ে নিলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলেই জানান চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর হালকা কিছু হলেও খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়।
সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করবেন
রাতের খাওয়া বাদ কখনো সমাধান নয়। বরং হালকা পুষ্টিকর কোনো খাবার খাওয়া উচিত। ডাল, সবজি, রুটি, সালাদজাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মিষ্টি কিংবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। শোবার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত, যাতে হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে।
এ ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিজে থেকে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে নিজের জন্যই ভালো হবে।