জাতীয়
জানুয়ারিতে সারাদেশে সড়কে ঝরেছে ৬০৮ প্রাণ

নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন এক হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজেদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করার কথা জানিয়েছে তারা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসেবে, জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ২৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়েছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ওইসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬৪ জন, যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
জানুয়ারি মাসের দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারীর প্রাণ গেছে। এ সময় ৭৩ জন যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৬টি গ্রামীণ সড়কে, ৪২টি শহরের সড়কে এবং ৪টি দুর্ঘটনা অন্যান্য স্থানে হয়েছে।
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫৮টি হয়েছে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এছাড়া ১৩৩টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪১টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার কারণে, ৭৫টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করায় এবং ১৪টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
জানুয়ারি মাসের দুর্ঘটনায় ৯৭১টি যানবাহন জড়িত ছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭৯টি মোটরসাইকেল। এছাড়া ১৯১ টি ট্রাক, ১৪২টি বাস, ১৩৭টি তিন চাকার বাহন, ২৪টি কাভার্ডভ্যান, ২৬টি পিকআপ, ১২টি ট্রাক্টর, ১৭টি ট্রলি, ৬টি ট্যাংক লরি, ১১টি ডাম্প ট্রাক, ১৯টি মাইক্রোবাস, ১৫টি প্রাইভেটকার, ২টি অ্যাম্বুলেন্স এবং নসিমন-করিমনসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি ৪২ যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আজ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাওনকে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হচ্ছে। ডিবি হেফাজতে তাকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আগামীকাল তাকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে উত্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় মেহের আফরোজ শাওনের জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তার পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আয়নাঘর পরিদর্শনে দেশি-বিদেশি মিডিয়াসহ যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

পতীত সরকার আওয়ামী লীগের আমলের আলোচিত আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় দেশি-বিদেশি মিডিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকবেন।
রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ, ব্যাপকহারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এই সভায় আলোচনা হয়েছে।
সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। এসময় বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়ে ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল’ যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো পরিদর্শনের অনুরোধ জানান কমিশনের সদস্যরা।
প্রধান উপদেষ্টা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করলে গুমের শিকার ব্যক্তিরা আশ্বস্ত বোধ করবেন ও অভয় পাবেন বলে জানান তারা।
সেদিন বৈঠকে কয়েকটি গুমের ঘটনার নৃশংস বর্ণনাও প্রধান উপদেষ্টাকে জানানা গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। এমনকি ছয় বছরের শিশুকেও গুমের বর্ণনা কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান তারা।
প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেময়ে বলেন, আপনাদের তদন্তে যে ঘটনাগুলো উঠে এসেছে তা গা শিউরে ওঠার মতো। আমি শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাব।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শ্রমিকের কল্যাণ হয় না, এমন কিছু করতেও আমি রাজি না: নৌ উপদেষ্টা

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মূলত চট্টগ্রামে এসেছি। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কিছু করতে আমি রাজি নই। এখানে শ্রমিকের কল্যাণ হয় না, এমন কিছু করতেও আমি রাজি না। আমরা যা করব, দেশের ভালোর জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। শ্রমিকদের যাতে কল্যাণ হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।
চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ও এনসিটি বেসরকারিকরণ বন্ধে শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে নৌ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বন্দরের কার শেড, কাস্টমসের অকশন শেড, জাহাজ থেকে আমদানির চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বন্দর কেন্দ্রিক ব্যাপক বিনিয়োগ আসছে। বন্দরে বিনিয়োগ হওয়া মানে এ অঞ্চলের উন্নতি তথা দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হওয়া। সে জন্য আরও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হবে। বিশেষ করে বে-টার্মিনাল, লালদিয়া। লালদিয়ার পাশে আরেকটি দেওয়ার জন্য তারা আলাপ আলোচনা করছে। আশাকরি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যদের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হবে। বিশ্ব ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে এখানে। বিশেষ করে চ্যানেল তৈরি করা, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ। ইতিমধ্যে মোংলা বন্দরকে আপডেট করার প্রচেষ্টাও চলছে।
কাস্টমসের নিলাম বিষয়ে নৌ উপদেষ্টা বলেন, কাস্টমসের নিলামে অগ্রগতি খুবই ভালো। বেশ কিছু তারা নিলাম করেছে এবং আরও কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এনবিআরের চেয়ারম্যান সাহেব এসেছিলেন। বেশ কিছু আইনি পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, যাতে বন্দরে বছরের পর বছর কনটেইনার পড়ে না থাকে। আইনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি হলে ১০-১৫ বছর ধরে এখানে আর কিছু পড়ে থাকবে না, নিলাম হবে। আইনি জটিলতার কারণে কাস্টমস নিলাম করতে পারছে না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ক্লিয়ার রাখতে হবে। আপনারা জানেন, বন্দরের কার্যক্রমের গতি বিগত ছয় মাসে অনেক বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। আমাদের জায়গা দরকার। নিলাম হয়ে গেলে আমাদের কিছু জায়গা হবে।
নৌ উপদেষ্টা বলেন, আমি আগামীকাল কক্সবাজার যাব, পরশু টেকনাফে যাব। টেকনাফে মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটা বন্দর আছে, সে জায়গাটি দেখব। ওখানে কিছু ইনপুট হয়, সেটি দেখব। একইসঙ্গে ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মায়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। যেহেতু সেখানে রোহিঙ্গারা ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।
টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ বন্দরটা আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা সিপিএ’র (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টাকার বিনিময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সাথে রাষ্ট্রের শত শত কোটি কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্টের পেছনে ব্যয় করে মানদণ্ড ভঙ্গ করে সংগ্রহ করা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি হলো—ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, তিনি যেসব পদক ও ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন, তার প্রায় সবগুলোর পেছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি বছর জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকারপ্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্কে নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়নবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৪।
আক্তার হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৮৭ সিরিজের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজে যেতেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এসব সফরে শেখ হাসিনা ব্যয় করেছেন প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্থানীয় সময় বিকালে হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিমানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, সরাসরি ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক যাত্রা না করে ফিনল্যান্ডে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এই ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট অবতরণ এবং সেখানে দুই দিনের ল্যান্ডিং চার্জসহ সফরসঙ্গীদের যাবতীয় খরচ বহন করতে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমানের প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের কাছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল

প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজ, কথাশিল্পী শহীদুল জহির, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল চলতি বছর (২০২৫) একুশে পদক পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেন।
এ বছর শিল্পকলায় পাঁচজন, সাংবাদিকতায় একজন, সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে একজন, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় একজন, শিক্ষায় একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, সমাজসেবায় একজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, গবেষণায় একজন এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে পাঁচজন হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নিরোধ বরণ বড়ুয়া এবং ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা।
সাংবাদিকতায় এবার একুশে পদক পাচ্ছেন মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে পদক মাহমুদুর রহমান।
সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ড. শহীদুল আলম, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর) একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
ভাষা ও সাহিত্য ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন কবি হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) এবং শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)। গবেষণায় মঈদুল হাসান একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া ক্রীড়াক্ষেত্রে একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের পেছনে দাঁড় করিয়ে ফটোসেশন করার ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে গ্রুপ ফটো সেশনের প্রচলিত রীতি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের জন্য গ্রুপ ফটো সেশন আরও সম্মানজনক এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে আয়োজন নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।