নানা অসংগতি সরিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স কমিটি। এনবিআর শুধু রাজস্ব সংগ্রহের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নানা ধরনের উদ্ভাবনকে ক্রমাগত উৎসাহিত করতেও সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সেখানে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব তথ্য দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে টাস্কফোর্সের সুপারিশমালা থেকে অন্তত একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন সুপারিশটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা জানাতে হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ। এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে অর্থনীতি, ব্যাংক,অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হয়।
টাস্কফোর্সের সুপারিশ মালায় বলা হয়েছে, এনবিআর তদারকি কমিটি: বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং সরকারের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে অবিলম্বে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা উচিত। এনবিআরের অসংগতি সরানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে সুপারিশ করা উচিত। কিভাবে এনবিআরকে পুনর্গঠন করা উচিত সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সুপারিশ করা উচিত। কাস্টমস, ভ্যাট এবং ট্যাক্স সম্পর্কিত অসঙ্গতিপূর্ণ, স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক নীতি সরানো উচিত। এনবিআর থেকে নীতি উদ্ভাবন, যেমন ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি এবং বন্ডেড ওয়্যারহাউস সিস্টেম আরএমজি শিল্পকে রূপান্তরিত করেছে। এই সমস্ত উদ্ভাবনী কাজ আরও থাকা উচিত এনবিআরের পুনর্গঠনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন— বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর আহমেদ, বিডি জবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্র্নিধারণ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালককে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।