পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই), জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর ফলে কাজের দক্ষতা বাড়বে এবং সেবা গ্রহণ সহজ হবে।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে ‘বিএসটিআই থেকে পণ্যের মান সনদ গ্রহণ ও ল্যাব টেস্ট সনদ গ্রহণে করণীয়’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৮ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) এস এম ফেরদৌস আলম।
বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফেরদৌস আলম বলেন, ‘বিএসটিআই থেকে যাতে গ্রাহকেরা সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। আজকের এই আয়োজন সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতার মধ্যে একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে। বিএসটিআই সব সময় চেষ্টা করছে, যাতে ভোক্তা সঠিক ও মানসম্পন্ন পণ্য পেতে পারেন এবং ব্যবসায়ীরা সহজে বিএসটিআইয়ের সেবা গ্রহণ করতে পারেন।’
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মান সনদ অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মান সহজে যাচাইয়ের মাধ্যমে সনদ গ্রহণ করতে পারে এবং ভোক্তারা মানসম্পন্ন পণ্য পেতে পারেন।’
বিসিআই সভাপতি আরও বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে কাজটি সমন্বিতভাবে সম্পন্ন হয় এবং সেবা গ্রহণ আরও সহজ হয়।
কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিসিআই পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের কর্মশালা ধারাবাহিকভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সব অংশগ্রহণকারীকে কর্মশালায় সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।