ক্যাটাগরি: লাইফস্টাইল

ব্লাড সুগার দূরে রাখবে যে তিন জিনিস

ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ের দ্রুত বর্ধনশীল রোগগুলোর মধ্যে একটি। দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, বিশেষ করে গত দশকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বৃদ্ধি ও পারিবারিক ইতিহাসের কারণে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কিন্তু ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের অভ্যাসও এই রোগ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

আপনি কী খাচ্ছেন এবং কোন ধরনের জীবনযাপন করছেন, তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের ছোটখাটো রোগও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। ওষুধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনিও যদি এই রোগের শিকার হয়ে থাকেন, তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আপনার জন্য খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

তুলসীপাতা
ডায়াবেটিক রোগীদের বাড়িতে অবশ্যই তুলসীগাছ রাখা উচিত। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি বিভিন্নভাবে উপকারী। তুলসীপাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে ইনসুলিনের দিকে সক্রিয় করে তোলে।

এই কোষগুলো ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। একজন ডায়াবেটিক রোগীকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু-তিনটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।

দারুচিনি গুঁড়া
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। দারুচিনি ব্যবহার করলে তা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।

দারুচিনির ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দারুচিনির ব্যবহারও স্থূলতা কমায়। এটি খাওয়ার জন্য দারুচিনি সূক্ষ্মভাবে পিষে পাউডার তৈরি করুন। এবার হালকা গরম পানির সঙ্গে পান করুন। পরিমাণে বিশেষ মনোযোগ দিন। তবে খুব বেশি পরিমাণে এই পাউডার গ্রহণ করাও বিপজ্জনক হতে পারে।

গ্রিন টি
গ্রিন টি পান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো। এই ভেষজ চায়ে উচ্চ পরিমাণে পলিফেনল থাকে, যা সক্রিয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। এর সাহায্যে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা গ্রিন টি পান করলে ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক উপকার পাবেন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার