জাতীয়
আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে সিলেট মহানগরের শতাধিক এলাকায়। এর মধ্যে কিছু এলাকায় সকাল ৭টা থেকে আবার কিছু এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত যতরপুর, মৌবন আ/এ, ঝেরঝেরিপাড়া, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, টিলাগড়, এমসি কলেজ, মৌচাক, পুষ্পায়ন আ/এ, ভাটাটিকর, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, চালিবন্দর, কাস্টঘর, বন্দর বাজার রোড, বঙ্গবীর, জেলরোড, আমজাদ আলী রোড, লালদিঘীরপাড়, হকার্স মার্কেট, কালিঘাট, পাইলট স্কুল, মেন্দিবাগ, নোয়াগাঁও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, টুলটিকর, মিরাপাড়া, শাপলাবাগ, কল্যাণপুর, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, ডুবড়ী হাওর, ফুলতলী মাদ্রাসা, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া একই দিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘাসিটুলা, জল্লারপাড়, লালাদিঘীর পাড়, কলাপাড়া, কীন ব্রিজ, সার্কিট হাউজ এক্সপ্রেস, নবাব রোড, পুলিশ লাইন্স ও ভাতালিয়া ফিডারের আওতাধীন সিলেট বিভাগীয় শহরের মির্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়, রামের দিঘীর পাড়, সুরমা মার্কেট, তোপখানা, লালাদিঘীর পাড়, নবাব রোড, ঘাসিটুলা, মজুমদার পাড়া, শামিমাবাদ আ/এ, কানিশাইল, বেতের বাজার, কলাপাড়া, টিকর পাড়া, শেখঘাট, কিন-ব্রিজ, সার্কিট হাউজ, কোর্ট পয়েন্ট, কাজির বাজার, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, তেলি হাওড়, তালতলা, মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, ভাতালিয়া, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, মুন্সীপাড়া, সাগরদিঘীর পাড়, মিরের ময়দান, পুলিশ লাইন, বর্ণমালা পয়েন্ট, মুনিপুড়ী বস্তি, সুবিদবাজার ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
একই দিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টুকেরবাজার, পীরপুর, তেমুখি, বলাউড়া, আউসা, শাহপুর, নোয়াপাড়া, টুকেরগাঁও, গৌরীপুর, গোপাল, বলাউড়া,ক্ষিত্তারগাঁও,ফতেহপুর, মোল্লারগাঁও, লামাকাজী, মাহতাবপুর, কুমারগাঁও, বিজিবি ক্যাম্প, পার্ক ভিউ আ/এ, করের পাড়া, পনিটুলা, নোয়াপাড়া, কালিবাড়ী রোড, গ্রীন সিটি, হাওলাদারপাড়া, ব্রাহ্মনশাসন, সতীশ চন্দ্র স্মরণী রোড, সৎ সঙ্গ বিহার, বিজিবি, কুমারগাঁও, বাসস্ট্যান্ড, তেমুখী, কুমারগাঁও আ/এ, নাজিরেরগাঁও, মইয়ারচর, চাতল, টিলাগাঁও, বড়গুল, ডলিয়া, ইউরো বাংলা সিরামিকস্, পাঠানটুলা, সুরমা গেইট, বিজিবি ক্যাম্প, আনছার ক্যাম্প, তারাপুর, শ্রাবনী, নিকুঞ্জ, লতিফ মঞ্জিল, পল্লবী আ/এ, যদিনা মার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও হোস্টেল, নরসিংটিলা, এতিম স্কুল রোড, আখালিয়াঘাট, দুদক অফিস, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, আলী বাহার চা বাগান, জাহাঙ্গীর নগর, পোড়াবাড়ী, ইসলামপুর, লাখাউরা, উত্তর বালুচর, বিজিবি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আশে-পাশের এলাকাসমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চার বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা থেকে ট্রলারসহ ৪ বাংলাদেশিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছান (৩০), আব্দু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মো. হাসান (১৬)।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে। শাহপরীর দ্বীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এইচএম সারতাজ বিন সোহরাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে লেফটেন্যান্ট সারতাজ বিন সোহরাব বলেন, মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মো. হাছানসহ চারজন ট্রলার নিয়ে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে মিয়ানমার দিক থেকে একটি স্পিডবোট করে আসা আরাকান আর্মি অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারটিকে ঘিরে ফেলে। পরে জেলেদেরসহ ট্রলারটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে স্থানীয়রা ঘটনাটি কোস্টগার্ডকে জানায়। পরে বিষয়টি কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি। অপহৃতদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি নাফ নদীতে কোস্টগার্ড নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, সকালে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে সীমান্তের ওপারে অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির লোকজনই বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার পর বিজিবি ও কোস্টগার্ড নাফ নদী সীমান্তে নিরাপত্তার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বুধবার

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এর আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছিল আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। তবে মঙ্গলবার পুনরায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করে একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ সরকার।
গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের প্রাক-তদন্ত দল ঢাকা আসে। আর সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত কাজ শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছে। বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তরুণদের হাত ধরেই দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে: উপদেষ্টা আসিফ

জুলাই অভ্যুত্থানে তরুণরা দেশকে নতুন স্বপ্ন দেখানোর প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, সেটা সফল করার ক্ষেত্রেও তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে। দেশ পুনর্গঠনে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশে পরিণত হবে।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুস্থ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের দায়িত্ব নিয়েছে। তাই সুস্থভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পরেও ধৈর্য সহকারে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে, বড় ধরনের কোনো রক্তপাত হয়নি, আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছে সেখান থেকে আমরা আশ্বস্ত হতে পারি। আমরা আশা করি, দেশের জনগণ দেশ পুনর্গঠনেও ধৈর্য এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই গণঅভ্যুত্থানের যেই ফসল দেশের মানুষ পেতে চায় তা বাস্তবায়নে সবাই সহযোগিতা করবে।
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরায়ণের যে দায়িত্ব নিয়েছে সেই কাজে দেশবাসী সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মামলার এজাহার সুন্দর করে লেখেন, তথ্য দিন। হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না, বিচার বিবেচনা করে দেবেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে অরাজকতা, গুম ও খুন হয়েছে। প্রতিটা হত্যার বিচার হবে এ বার্তা দিতে হবে। তা না হলে এ পদে থাকার কোনো মানে হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব বিভাগ সঠিকভাবে কাজ করলে মবতন্ত্র কমে যাবে। সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
আমরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা লাখ লাখ টাকায় দেশকে অস্থিতিশীলের চেষ্টা করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে ভোট ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো প্রস্তুতি নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। নির্বাচন ভবনে সকালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার ইসির অবস্থান তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কশিমশনার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গত ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানে যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব।
এ নিয়ে ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা বলেছিলাম আমাদেরকে তাড়াতাড়ির তারিখটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ এলে তখন ইসি বিষয়টি সম্ভব কিনা বিবেচনা করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে এক বছরের মতো সময় লাগে। আমাদের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়নি, কিছু হয়েছে। এ কন্ডিশনাল বিষয়গুলো নিয়ে স্পেসিফিক টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ধারণা করি, সরকার তো আমাদের হাতের টাইমগুলো বিবেচনায় নেবেন এবং তারা যদি মনে করেন জাতীয় নির্বাচনকে কোনো একটা টাইমে ফ্রেম করে তারপর কতটুকু অনুশীলন করা যায় তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় নির্বাচন ব্যহত হয় এমন কিছুর বিষয়ে কমিশনও সজাগ থাকবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন ইনস্টিটিউশনের হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন আমরা বলতে পারব, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি করবে না। তার আগে সম্ভব না।
এর আগে বেলা ১১টায় কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতরা।