অর্থনীতি
ওষুধ, রেস্তোরাঁসহ কিছু পণ্য-সেবায় ভ্যাট কমালো এনবিআর

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে তীব্র সমালোচনা ও দাবির মুখে পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের হার কমানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বাংলাদেশের নিজস্ব আর্থিক ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি সরকার ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ ও ‘The Excises and Salt Act (Amendment) Ordinance, 2025’ অধ্যাদেশ জারি করেছে। একই উদ্দেশ্যে কতিপয় পণ্য ও সেবার ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার পুনঃনির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতিপয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং অংশীজনের অনুরোধ বিবেচনা করে বৃহত্তর জনস্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতিপয় পণ্য ও সেবায় বিদ্যমান ভ্যাটের হার, উৎসে ভ্যাট কর্তনের হার ও সম্পূরক শুল্কের হার হ্রাস করে ৪টি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
যেসব খাতে ভ্যাটের হার পরিবর্তন করা হয়েছে-
ওষুধ: সকল জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে বাড়ানো ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আগের ২.৪ শতাংশে বলবৎ রাখা হয়েছে।
ওষুধের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করায় ওষুধ শিল্পের ধারাবাহিক বিকাশ বজায় থাকবে এবং সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে ওষুধের দাম বাড়বে না।
মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা: দেশের চলমান ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও একটি আধুনিক আইটি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বির্নিমান এবং অনলাইনভিত্তিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক এবং আইএসপি সেবার ওপর নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবার উপর বর্ধিত বা নতুন আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এই দুই খাতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে না।
রেস্তোরাঁ: দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভমূল্যে রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণের সুবিধার্থে থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার এবং ফাইভ স্টার হোটেল ব্যতীত অন্য সকল রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ফলে সাধারণ জনগণ আগের দামেই এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
মোটর গাড়ীর গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ: জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধিকৃত ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ফলে এ সংশ্লিষ্ট সেবা মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।
অন্যান্য: একই বিবেচনায় নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতিত অন্যান্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া, নন এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার, ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে সেবার ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের আপামর জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে গত কয়েক মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভোজ্য তেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর এবং কীটনাশকের ওপর আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর এবং আগাম করের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে করছাড় প্রদান করেছে। বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পুস্তকের সহজলভ্যতা, আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ই-বুক সেবায় স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
যানজট নিরসনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দ্রুতগামী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেল সেবার উপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া, হজ যাত্রীদের খরচ কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হজ্ব টিকিটের ওপর আরোপযোগ্য আবাগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
রাস্তা-সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু চূড়ান্ত

গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অর্থের জন্য সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকার তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুকুক বন্ড হবে মেয়াদ হবে ৭ বছর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ এই সুকুক বন্ডের অর্থ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। সুকুকটির নাম দেওয়া হয়েছে ইসটিনা ও ইজারা। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) মাধ্যমে প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের আট বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার, ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক এবং চার হাজার ২৩০ মিটার নদী শাসনের কাজ বাস্তবায়ন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষিপণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সুপারশপের ভ্যাট রেয়াত সহজ করলো এনবিআর

সুপারশপগুলো এখন থেকে আরও সহজে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে। শর্তসাপেক্ষে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত ঘোষণা দাখিলেরও প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক ব্যাখ্যাপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখার এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সুপারশপগুলোর ক্ষেত্রেও এই হার প্রযোজ্য হবে। তবে সুপারশপগুলো যদি ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করে, তাহলে তারা অন্যান্য নিয়ম মেনে সহজেই ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে এবং মূসক-৪.৩ ফর্মে ঘোষণা দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
অর্থ্যাৎ এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুসারে, সুপারশপগুলো ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করলে তারা মূসক-৪.৩ ফর্ম জমা দেওয়া ছাড়াই রেয়াত সুবিধা পাবে।
জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, সুপারশপ অনেক পণ্য বিক্রি করে। প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য ঘোষণা দেওয়া কঠিন। তাই তাদের জন্য এই ঘোষণা তুলে দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, সুপারশপগুলো আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে কেনা বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু তারা উৎপাদন করে না। তাই উপকরণ-উৎপাদন সহগ (মূসক-৪.৩) ঘোষণার বাধ্যবাধকতা সুপারশপের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।
এনবিআর জানায়, সুপারশপ বলতে এমন দোকান বোঝায়, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খাদ্যপণ্য, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, গৃহস্থালি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। দোকানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোক বা না হোক, এর আয়তন যাই হোক, যদি এটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডে পরিচালিত হয়, তাহলে এটি সুপারশপ হিসেবে গণ্য হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ২১.৫২ শতাংশ

জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এডিপির মাত্র ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময়ে খরচ হয়েছে উন্নয়ন বাজেটের ৫৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। গতবার একই সময়ে খরচের পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। চলতি বছরে বাকি আছে মাত্র ৫ মাস। এই সময়ে খরচের টার্গেট ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। চলতি বছরে মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আইএমইডি। জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের হিসাবে দেখা গেছে, এডিপিতে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এডিপিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মানে আগেরবার প্রকল্পের মাধ্যমে যত টাকা খরচ করা হয়েছে, এবার তাও ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে এবার। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন; ক্ষমতার পটপরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের খুঁজে না পাওয়া, এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, এর আগে জুলাই-জানুয়ারি হিসাবে কোভিডের বছরে (২০২০-২১ অর্থবছর) ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। পরের দুই বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা করে খরচ হয়েছিল। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭১ হাজার ৫৩২ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় নতুন ঋণ প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি গত বছরে সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে এবং একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতেও সহায়তা করবে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাইজার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উন্নত জনসেবার ভিত্তি তৈরিতে অব্যাহত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশে চলমান এবং পরিকল্পিত বিশ্বব্যাংকের সহায়তা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন।
রাইজার বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংক সরকারকে বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করছে। ব্যাংক রেজোলিউশন এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার, কর নীতি এবং রাজস্ব সংগ্রহ, ক্রয় এবং নিরীক্ষণ এবং জাতীয় পরিসংখ্যানের মান এবং স্বাধীনতা জোরদারে সহায়তা করা হচ্ছে। এই সংস্কারগুলো মধ্যমেয়াদে সমান সুযোগ তৈরি করতে এবং ব্যবসা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে, একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং ঢাকায় ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন ঋণ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
রাইজার এ সফরে অর্থ উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবে: মাশরুর রিয়াজ

দেশের অর্থনীতির এমন টালমাটাল অবস্থায় কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ভুল পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, ভুল সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবে। কিন্তু এটা করার সময় কি এখন, যখন দুই-আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতির অভিঘাত সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে চেপে ধরেছে? এই সময়ে এটা করা ঠিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একটি জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মাশরুর রিয়াজ বলেন, ভ্যাটের হার একসময় বাড়াতে হতো। কিন্তু এই সময় আইএমএফের চাপে বাড়াতে হয়েছে। আইএমএফ লাগবে কী লাগবে না সেটা অন্য আলোচনা। ম্যাক্র ক্রাইসিসে আইএমএফের কিছু সুবিধা থাকে, যদি আপনি রাইটলি ম্যানেজ (সঠিকভাবে পরিচালনা) করতে পারেন। এই জায়গায় আমরা আইএমএফকে রাইটলি ম্যানেজ করতে পারিনি। তারা প্রেশার দেবেই, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। কিন্তু এই সময়? এখানে নেগোসিয়েশন ফেইলিওর হয়েছে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, করহার পরিবর্তন করতে চাইলে যৌক্তিক রোড ম্যাপ দিতে হয়। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাকে তৈরি হতে হয়। এটা এখানে হয়নি। উল্টো বছরের মাঝখানে এটা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্কে প্রেডিক্টিবিলিটি অত্যন্ত কম। কারণ এসআরও-এর মতো শক্তিশালী অস্ত্র এনবিআরের আছে। সব কিছু আইনে যেতে হয় না। সেটার কিছু প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে গত ১৫ বছরে এর মিস ইউজটা বেশি হয়েছে।
হার দিয়ে কর বাড়ানো যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনো দেশে হয়নি। যদি বাড়েও তবুও এটা সাময়িক, সাস্টেনেবল না।