ক্যাটাগরি: আন্তর্জাতিক

আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য: ট্রাম্প

‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করা’— এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কই নির্বাচনে তার জয়লাভের বড় কারণ ছিল বলেও দাবি করেছেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।

‘কমান্ডার-ইন-চিফ বল’ নামক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রম্প একথা বলেন। এই আয়োজনটি ছিল ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের একটি অংশ। এর আগে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নির্বাচনে জয়লাভের একটি বড় কারণ ছিল সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘কমান্ডার-ইন-চিফ বল’ নামক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, আমরা সত্যিই সামরিক বাহিনীর সহায়তায় জিতেছি।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, পিট হেগসেথের নেতৃত্বে আবার “বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী” পাবে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত হেগসেথ পরবর্তীতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি মজবুত আয়রন ডোম গড়ে তুলব। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করা। আমরা পরাজিত হবো না, অপমানিত হবো না। আমরা শুধু জিতবো, জিতবো এবং জিতবো।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই বলেছেন, তার প্রশাসন সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে, তবে “তা ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না আমাদের”।

এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথের পর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনা মঞ্চে প্রথম ভাষণ দেন তিনি এবং এরপর প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে স্বাক্ষর করেন। পরে বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন ট্রাম্প।

এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘চুরি’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে বসে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘চুরি’ করছে। আমাদের দেশের একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে।

শুল্ক বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে (সম্পদ) নিয়ে যাচ্ছে। তার ভাষায়, তারা আমাদের দেশে আসে এবং এসে আমাদের সম্পদ চুরি করছে।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভকারীরা নতুন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের অভিষেকের সাথে সাথে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেসে সমবেত হন এবং বিক্ষোভ করেন।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার