ক্যাটাগরি: জাতীয়

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাদের খান মারা গেছেন

জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের খান মৃত্যুবরণ করেছেন। যিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কারাবন্দি ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, কাদের খানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল কাদের খান (৬৯) গত ১৪ অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, তার দুই চোখে গ্লুকোমার চিকিৎসা চলছিল। আর হাসপাতালের মৃত্যু সনদ অনুযায়ী, হৃদরোগের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাস্টারপাড়ায় নিজ বাড়িতে এমপি লিটনকে গুলিতে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী।

তদন্ত শেষে কাদেরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আবদুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন।

পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৫ সালের শেষ দিকে এমপি লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আব্দুল কাদের খান। লিটনকে সরিয়ে ভোটের রাজনীতির পথ সুগম করতেই এমন চক্রান্ত করেন তিনি। এজন্য ভাড়াটে খুনিদের ১০ লাখ টাকা দেন কাদের খান।

হত্যাকাণ্ডে তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে দুটি অবৈধ। ওই ঘটনায় দায়ের করা পৃথক একটি অস্ত্র মামলায় ২০১৯ সালের ১১ জুন কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

এছাড়া অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় দেওয়া হয় ১৫ বছর কারাদণ্ড। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক আলোচিত এ মামলায় এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন, আব্দুল কাদেরের একান্ত সহকারী শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, গৃহকর্মী মেহেদি হাসান, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া, সাবেক পোশাকশ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম রানা ও চন্দন কুমার রায়।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার