অতর্কিত হামলার শিকার ইবির ৯ শিক্ষার্থী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পার্শ্ববর্তী ত্রিবেণী এলাকায় মাঝরাতে অজ্ঞাত স্থানীয়দের কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন ইবির ৯ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হলেও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ত্রিবেণী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগীরা সবাই শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ১৪ জন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভুগীরা জানান, আক্রমণের শিকার হয়ে পালিয়ে ঐ এলাকার বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং ইবি ছাত্র শিবির সভাপতি ও সহ সমন্বয়ক পঙ্কজ রায়ের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি ছাত্র শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়া উপলক্ষে ত্রিবেণী এলাকায় মিষ্টি খেতে যাই আমরা ১৪ জন। আনুমানিক রাত ১২টার দিকে মিষ্টি খেয়ে ৫ জন চলে যায়। বাকী ৯ জন রাস্তার কালভার্টে বসে আড্ডা দিতে থাকি। এমন সময় হঠাৎ বাইক দিয়ে ৪-৫ জন লোক এসে গালি দিতে থাকে এবং বলতে থাকে, ‘এতো রাতে তোরা এখানে কী করিস?’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলেও কথায় কর্ণপাত না করে তারা বলে যে, ‘এটা ১৭৫ একর না।’ তারপর তারা এলোপাতাড়িভাবে মারতে শুরু করে। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের কয়েকজন গুরুতরভাবে আঘাত করে। এসময় দৌড়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন আশ্রয় নিলে সেখানে এসে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় কয়েকজন বন্ধু আশেপাশের ফসলের ক্ষেতে দৌড়ে পালায়।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা ঘটনা জানার মুহূর্তেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা যদি কোনো আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে চায় তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ঘটনা শোনার পর থানায় অবহিত করেছি এবং ঐ জায়গায় কে বা কারা জড়িত চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে বলেছি। ইবি থানা ইতোমধ্যে জায়গাটা নজরদারিতে রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।

অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার