সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি আছে, আমাদের অনুসন্ধান দল অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা শিগগির আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে পারবো।
যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে মামলার দিকে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা আপনাদের শিগগির ভালো সংবাদ দিতে পারবো। তবে আমরা যে রেকর্ডপত্র পেয়েছি তাতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণাদি রয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বোন শেখ রেহানাসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে) রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগও তদন্ত করতে বলা হয়।