ইবিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ ধরে প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা৷

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উভয় গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ভবনে আটকা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ইবির স্বাধীনতা রক্ষা করো, করতে হবে’, ‘ইবির স্বতন্ত্রতা রক্ষা করো, করতে হবে’, ‘জবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন’, ‘সাস্ট যখন স্বাধীন, ইবি কেন পরাধীন’, ‘খুবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে’, ‘জবি, খুবি বাহিরে, আমরা কেনো গুচ্ছে’, ‘সাস্ট গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে’, ‘খুবি গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যা, আমাদের দাবিও একই। আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। উপাচার্য আসার পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর এখন ক্যাম্পাসে নেই। তিনি আজকে আসবেন এবং আগামীকাল বিকেল ৩টায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন। সবার সঙ্গে বসে আমরা গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে কথা বলেন উপ-উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী। এ সময় তিনি আগামীকাল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ভবনের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেওয়ার ফলে দীর্ঘ সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি জগন্নাথ, খুলনা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমরা চাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেওয়ার মাধ্যমে তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন বন্ধ করবো না।

অর্থসংবাদ/সাকিব/সএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার