চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানটি জব্দ করা হয়।
এর আগে সকালে বিমানটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে একটি আসনের নিচ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার আতিয়া সামিয়া নামের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্বর্ণ দোকানের বিক্রয়কর্মী বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় শাহজালালে বিমান জব্দ করা হলেও শাহ আমানতে এবারই প্রথম।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটে তল্লাশি চালায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। তল্লাশির সময় ৯-জে নম্বর যাত্রী আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জব্দ করা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম। যেগুলোর বাজার দর প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানের আসনের নিচে যেভাবে স্বর্ণের বারগুলো রাখা হয়েছিল, সেগুলো বিমানের কারও সহায়তা ছাড়া রাখা সম্ভব না। তাই তদন্তের স্বার্থে কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। বিমানটি জব্দ করা হলেও সেটি বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী নামিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্বর্ণ উদ্ধার করা বিমানটি জব্দ করা হয়েছে, যেন বাংলাদেশ বিমানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। তারা মনে করছেন, বিমানের আসনের নিচে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এটাতে বিমানে কেউ জড়িত কি-না, বিমানের ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহসহ তল্লাশি বা নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাগজ-কলমে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন চলবে।