বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান চার দিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এসেছেন। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, খালিদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, খালেদের খোঁজে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই, তিনি হলে ফিরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিলেন। তিনি কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। এ জন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে সেরকম কোনো চিহ্ন পাইনি।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢোকেন এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হন। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে কোনো ফোন ছিল না। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওইদিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে তিনি টিকিটও কাটেননি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই সহ-সমন্বয়ককে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খালেদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তারা খালেদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন।
পরে উপাচার্য ডিউটি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তার জানান, খালেদের শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভালো, তবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না।
এরপর উপাচার্য জ্যেষ্ঠ ডাক্তার দিয়ে খালেদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন এবং তার চিকিৎসায় যেন কোন ধরনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত না হয়, সে বিষয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন।
কাফি