ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্সের ডলার কোনোভাবেই ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে রেমিট্যান্সের ডলারের এই মূল্য নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন টাকা বেশি। কারণ ডলারের আনুষ্ঠানিক দর ঘোষণা দেওয়া আছে ১২০ টাকা।
মঙ্গলবার এক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত রোববার অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে ৮ থেকে ৯ টাকা বেশি দরে রেমিট্যান্স কিনেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খোলাবাজারেও। এর সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাধু চক্র।
জানা গেছে, রোববার ব্যাংকগুলো ডলার সংকটে রেমিট্যান্স কিনেছে সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মার্কেটে বা খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছায়। এক সপ্তাহ আগেও ছিল যা ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে হঠাৎ বেশি দামে ডলার কেনায় ১৩টি ব্যাংক চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তালিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার দুটি এবং বেসরকারি খাতের ১১টি ব্যাংক ছিল। এরপর কিছুটা কমে আসে ডলারের দাম। গত দুইদিনে কমে মঙ্গলবার রেমিট্যান্সের ডলার ১২৩ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে রেমিট্যান্সের ডলার কোনোভাবেই ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না।
ব্যাংকের কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ব্যাংকগুলোকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নেওয়ায় দাম কমে এসেছে। আগামীকাল থেকে ১২৩ টাকার বেশি কেনা যাবে না।
এদিকে ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধপথে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।