জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জমেলা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করছি। আমরা হয়তো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি, কিন্তু যাদের আত্মত্যাগে আমরা পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি, স্মৃতিস্তম্ভসহ তাদের কবরের পরিচর্যা আমরা করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। যেমন আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের স্বাধীনতার কথা শুনিয়েছেন, তেমনি আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে গর্বের সাথে শোনাতে পারব যে আমরা বীর শহীদদের কবরের পরিচর্যা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দিন রাত একাকার করে প্রস্তুত করেছি।
গণপূর্ত ঢাকা বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অন্যান্য উপদেষ্টাগণ, সচিব, কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন বলেন, বিজয় দিবস ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
ইতোমধ্যে আমরা সৌধ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি। সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসে লাখো মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জানানোর পর পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধ। পরে সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।