চলতি মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বিতরণ করা পেঁয়াজ বীজের অঙ্কুরোদ্গম হার অস্বাভাবিক কম হওয়ায় কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও একজনকে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ও জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয়।
এ কাণ্ডে বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও উপপরিচালক শাহানা আক্তার সাময়িক বরখাস্ত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব পালনে বিরতির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিএডিসির সরবরাহ করা ৩৪ টন পেঁয়াজের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ৫৯ জেলায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এক কেজি করে বিনামূল্যে পেঁয়াজের বীজ পেয়ে ৩৪ হাজার কৃষকের মলিন মুখে ফুটেছিল চওড়া হাসি। প্রণোদনার এই বীজ যে এতটা যন্ত্রণার ঝাঁজ হয়ে ফিরবে, আন্দাজও করতে পারেননি চাষিরা।
ঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে বীজ বপন করার পরও ৯৫ শতাংশ পেঁয়াজ চারা মাটি ফুঁড়ে বের হয়নি। বীজ থেকে পেঁয়াজ না আসায় এ বছর হাজার হাজার চাষির স্বপ্ন মাঠে মারা। এ পরিস্থিতির জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরই দুষছে কৃষকরা।
কৃষকের অভিযোগ, সরকার যে পেঁয়াজ বীজ দিয়েছে, তা ভেজাল। বিএডিসির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারসাজিতেই এমন সর্বনাশ হয়েছে। একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নিম্নমানের ভেজাল বীজ কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছে।