ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ ও তাঁর মালিকানাধীন প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট এন্ড এগ্রো লিমিটেড ও তাঁর পরিবারের সদস্যেদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। কর ফাঁকি সংক্রান্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসমূহ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, মানি লন্ডারিং বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য যাবতীয় তথ্যাদি অনুসন্ধানের লক্ষ্যে আট সদ্যেসের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৪ ডিসেম্বর এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল বিভাগ থেকে এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন বিভাগের মহাপরিচালক আহসান হাবিব। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি ০৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি অনুসন্ধানের লক্ষ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।
আট সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- দপ্তরের পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, উপপরিচালক তাসনিম আলম, সহকারী পরিচালক জায়ীদ নাসীরী, প্রোগ্রামার মো. ফরহাদ খান পাঠান, কর পরিদর্শক কাজী নুরুল হাসান মুকুল, কর পরিদর্শক মো. মাহবুবুল ইসলাম এবং কর পরিদর্শক তৌহিদা খাতুন।
আদেশে বলা হয়, করদাতা কোম্পানি প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট এন্ড এগ্রো লিমিটেড, উক্ত কোম্পানির পরিচালক শিরিন আক্তার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম শাহরিয়ার, পরিচালক জহরা খাতুন, পরিচালক মো. আলাউদ্দিন আল সোহেল এবং কোম্পানির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মো. সোমরাজ মিয়া ও মিনারা বেগমের নামে অত্র দপ্তরে পরিচালিত কর ফাঁকি সংক্রান্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ২০৪ এর অধীন অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম এবং ধারা ২০৬ এর অধীন তল্লাশী ও জব্দকরণ কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বর্ণিত করদাতাদের মালিকানাধীন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসমূহ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, মানি লন্ডারিং বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য যাবতীয় তথ্যাদি অনুসন্ধানের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
এটি একটি সরকারী সফর। অনুসন্ধান টিমের সদস্যগণ বিধি মোতাবেক টিএ/ডিএ প্রাপ্ত হবেন। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানায় এনবিআর।
এসএম