আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত বাশার আল-আসাদের নিয়োগ দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালির দায়িত্বেই থাকবে সিরিয়ার সরকারের ভার।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদেন বলা হয়েছে,রাজধানী দামেস্ক দখলে নিয়েছে এইচটিএস। এর মধ্যেই পালিয়ে গেছেন বাশার আল–আসাদ। পরে এ নিয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেন, বিরোধীদের দামেস্কের কোনো প্রতিষ্ঠানের দখল নিতে নিষেধ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে এর ভার। উৎসবের সময় গুলি চালানোও নিষিদ্ধ।
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে নতুন সিরিয়ার সূচনা হলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন সিরিয়া হবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্থান, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।
বিদ্রোহীরা বিবৃতিতে বলেন, আমরা অন্ধকার অতীতের পাতা উল্টে দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করি। ৫০ বছরের নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার, বাস্তুচ্যুতি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পর, সব দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করে আমরা আজ ঘোষণা করছি, সেই অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং শুরু। সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের শুরু হলো।
এদিকে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। তিনি জানান, তিনি তার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন না এবং তিনি নিশ্চিত করতে চান যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আল-জালালি বলেন, আমি সবাইকে যুক্তিযুক্তভাবে চিন্তা করার এবং দেশ নিয়ে চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বিরোধীদের দিকে আমাদের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি যারা তাদের হাত বাড়িয়েছে। দৃঢ়ভাবে বলছি, তারা এই দেশের কারও ক্ষতি করবে না।
কাফি