অর্থনীতি
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
টানা দুই মাস ধরে বাড়তে শুরু করেছে দেশের পণ্য রপ্তানি। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে উৎপাদন খাতে যে ধাক্কা লেগেছে তা কাটিয়ে উঠছে এই খাত। নভেম্বরে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবির হিসেবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থ্যাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরে মোট রফতানি হয়েছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে পৌঁনে ১২ শতাংশ। নভেম্বরে শুধু তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় এসেছে ৩৩০ কোটি ৬২ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এই সময়ে কৃষি খাতের রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের রফতানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। হোমটেক্সাটাইলে বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।কিছুটা কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের পরিমাণ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি হয়েছে এক হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য। বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চারদিন ধরে বন্ধ সঞ্চয়পত্র বিক্রি
সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য চার দিন ধরে সঞ্চয়পত্রের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে কোনো ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ বিভিন্ন স্কিমের মুনাফার অর্থ তোলা যাচ্ছে না। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
এদিকে অধিদপ্তর জানায়, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন কাজ চলছে। যার কারণে সেবা সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার পর থেকে সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সার্ভার সচল করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পরিচালক রোকনুজ্জামান জানান, বিষয়টি সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর দেখে। তারা বলেছিলেন আজ দুপুর ১২টা নাগাদ চালু হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত সার্ভার সচল হয়নি।
তবে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজটি করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে খুব শিগগিরই সার্ভার চালু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপির দায় স্বতন্ত্র পরিচালকের নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
এখন থেকে কোনো ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ঋণখেলাপি হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকরা খেলাপি হবেন না। আগে প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়ে গেলে স্বতন্ত্র পলিচালরাও ঋণখেলাপি হতেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জারি করা এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ১৬ (৫) ধারা অনুযায়ী কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকরা ঋণখেলাপি হবেন না।
এতদিন এনবিএফআইগুলো তাদের পর্ষদে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিত। তবে এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করে নীতিমালা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব তফসিলি ব্যাংককে পরিপালনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরিচালকদের মূল কাজ হচ্ছে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদে প্রতিষ্ঠান ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত হলেও স্বতন্ত্র পরিচালকদের পক্ষ থেকে নোট অভ ডিসেন্ট পাওয়া যেত না। তাই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও অধিক ক্ষমতা দিয়ে এই সার্কুলার ইস্যু করা হয়েছে।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার সুযোগ রয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বতন্ত্র পরিচালকের প্যানেল প্রস্তুত করবে। সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও যোগ্য ব্যক্তির নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠাতে পারবে। নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে প্যানেলভুক্ত করবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখা গেলে বা স্বাধীন মতামত প্রদান বাধাগ্রস্ত হলে অথবা পর্ষদ সভার কার্যবিবরণীতে মতামতের প্রতিফলন না হলে স্বতন্ত্র পরিচালক অবিলম্বে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে লিখিতভাবে জানাবেন বলেও উল্লেখ করা হয় সার্কুলারে।
প্রয়োজনে, পরিচালনা পর্ষদের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার প্রদত্ত নোট অভ ডিসেন্টের কপি তিনি সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবেন। স্বতন্ত্র পরিচালক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনোরূপ গ্যারান্টিপত্রে স্বাক্ষর করবেন না,’ বলা হয় এতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কৃষি ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪.৩৯ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখ দেয়। এরমধ্যে জুলাই মাসের প্রথমভাগে জামালপুর, আগস্টের শেষে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সেপ্টেম্বরের শেষে বন্যায় প্লাবিত হয় দেশের উত্তরাঞ্চল। ফলে কৃষকরা পুরোপুরি ফসল ফলাতে পারেননি। এতে ব্যাহত হয় কৃষি উৎপাদন ও বিপণন। বন্যার কারণে কমে গেছে কৃষি ঋণ বিতরণও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে কৃষি ঋণ বিতরণ।
ব্যাংকাররা বলছেন, সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষার্ধে ব্যাংকসহ পুরো ব্যবসায়ীক কার্যক্রমই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরপর তিনটি বন্যার ফলে কৃষি ঋণ বিতরণ কমে গেছে। বিপরীতে বেড়েছে বকেয়ার পরিমাণ। আগামীতে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানান তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের কৃষি খাতে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অর্থবছরের প্রথম পাঁচ (জুলাই-নভেম্বর) মাসে ১৩ হাজার ৮১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। এটি মোট বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ শতাংশ। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম পাঁচ মাস) বিতরণের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণ কমেছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, কৃষি ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ৭০ কোটি, বকেয়া রয়েছে ২৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়ার (খেলাপি নয়) পরিমাণ ১১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। মোট ঋণের মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত মোট ঋণের ১০ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক খাতের সার্বিক খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে কৃষি ঋণের খেলাপি ঋণের হার অনেক কম। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট ঋণ ১৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ ছাড়াতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে: গভর্নর
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের কার্যক্রমে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, নগদের ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত আমরা দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো অনিয়ম পেয়েছি। মারাত্মক ঘটনা হলো- তারা অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে প্রায় ৬০০ কোটি ই-মানি তৈরি করেছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর।
গভর্নর বলেন, নগদ নিয়ে আমরা শুরু থেকে গভীরভাবে কাজ করছি। সেখানে সুশাসন নিশ্চিতে প্রশাসক দেওয়া হয়েছে। তাদের আগের যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি, জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেগুলো তদন্তে কাজ চলছে। নগদের ব্যবস্থাপনায় আরও অনিয়ম চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত চলমান।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম: ব্রিজিং দ্য গ্যাপস’ শীর্ষক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এমসিসিআই ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়ালগুলোর মধ্যে বাজারে বিকাশ রয়েছে। তারা বেশ ভালো অবস্থানে। আমরা চাই এ মার্কেটে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আসুক। নগদকে আমরা সেই পথে ফেরাতে চাই। সুশাসন ফিরলে আমরা নগদের জন্য নতুন বিনিয়োগ আহ্বান করবো। তার আগে এখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা নগদকে বাজারে আরেকটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে কাজ করছি।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এমএফএস খাত আরও টেকসই করতে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। আবার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিমুক্ত, ঝামেলামুক্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে পাঠ্যক্রমে ধারণা দিতে হবে। যাতে হাই স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এটার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা শিখে আসে।
টেলিকম খাতে বর্তমান করের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ। কর আরও বৃদ্ধি পেলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমে যেতে পারে এবং সেবার মানও নেমে যেতে পারে।
সেমিনারে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বাংলাদেশের অবস্থান, করণীয় ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এমসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার, বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির প্রমুখ।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা
নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির ১১ দিনে ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে ৮১৬ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে এসেছে ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। এভাবে রেমিট্যান্স আসার গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স। আলোচিত সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ডলারের বেশি।
এর আগে সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি।
একক মাস হিসাবে আগে কখনই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।