বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে রাজধানীর বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় গুলিতে নিহত হন ভ্যানচালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। তাকে দাফনের ১৩৪ দিন পর কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কবর থেকে তোলার পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এবিষয়ে সিআইডির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রিজুয়ানুল হক বলেন, গত ২০ জুলাই ভ্যানচালক হাফিজুল বাড্ডার প্রগতি সরণি দিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে পরিবার তাকে বাড্ডার বরকতপুর মোল্লা কবরস্থানে দাফন করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে পরদিন (২১ জুলাই) বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। পরে আদালতের নির্দেশে আজ রোববার তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আছিফ উদ্দিন মিয়ার উপস্থিতিতে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান রিজুয়ানুল হক।
নিহত হাফিজুল শিকদার পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবু বক্কর শিকদারের সন্তান। মৃত্যুর আগে তিনি বাড্ডার রূপনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।