চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জনতা ব্যাংক নগরের চৌমুহনী জীবন বিমা শাখা। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।
যাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে তারা হলেন- মামলায় গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভিন, ভাই মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, মো. আবদুল্লাহ হাছান, আব্দুস সামাদ (লাবু), ওসমান গণি, মো. শহিদুল আলম, ভাইয়ের স্ত্রী শাহানা ফেরদাউস ও গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুছ ছবুর ও পরিচালক মিশকাত আহমদ (তাকে বিবাদী করা হয়েছে)।
আদালত একই আদেশে গ্রুপটির চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের নামে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চার কোটি ৯৬ লাখ ও তার ভাই আব্দুস সামাদের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দুই কোটি ৪৬ লাখ শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা নির্দেশ দিয়েছেন।
অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের বিরুদ্ধে এক হাজার ৯৬৩ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি মামলা করেছে জনতা ব্যাংক।
জানা গেছে, ২০ নভেম্বর জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে তোলে। ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের কাছে এই টাকা অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়। সে শাখা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিলাম ডাকে।
২০০৪ সাল থেকে এস আলম গ্রুপ জনতা ব্যাংকের গ্রাহক। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখার দেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি নিয়েছে গ্রুপটি। এই শাখায় এস আলম গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যার পুরোটাই খেলাপি। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে বন্ধক রয়েছে ২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা।
আপাতত গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হলেও ধীরে ধীরে বাকি ঋণের জন্য অন্য বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে জানা গেছে।