পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনার ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) তৃতীয় বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (২৩ জুন ২০২৪ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪) বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে তৃতীয় বছরের প্রথমার্ধে (২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ২২ জুন ২০২৪)বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছে। দ্বিতীয় বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছিল করপোরেট বন্ডটির ট্রাস্টি। সুকুকটির অভিহিত মূল্য ১০০ টাকার ওপর রিটার্ন নির্ধারণ করা হয়।
পাঁচ বছর মেয়াদি সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রিটার্ন নিধারণ করা হয় ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মুনাফা মার্জিন যোগ করে। ২০২২ সালে বেক্সিমকো লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন দেয়া হয়। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকটি অনুমোদন করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সংস্থাটি জানায়, বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনা শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে। বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের (এসপিভি) মাধ্যমে এ সুকুক ইস্যু করা হয়।
এমআই