তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যদি পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর ও চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে সেটা মেনে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সরকার তার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আইনগতভাবে দেখা হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা সচিবালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়েও এমন কথা বলেছিলেন তথ্য উপদেষ্টা।
ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে বিক্ষোভের প্রসঙ্গ টেনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এটা গণমাধ্যমের জন্য হুমকি কি না। জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, তিনি গতকালও বলেছেন, এখানে একটি ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন (আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়) তৈরি হয়েছে। সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আইনগতভাবে দেখা হবে। কিন্তু এটা কেবল আইনি বিষয় নয়, বিগত সময়ে নানা গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সেটি স্পষ্ট করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব—কেন ক্ষোভ? সংলাপে বসে তাদের কর্মকাণ্ড স্পষ্ট করা উচিত। তবে ল অ্যান্ড অর্ডারের জায়গায় গেলে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে, সেটা পালন করবে। যদি পত্রিকা অফিস ভাঙচুর ও চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। পুলিশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয়, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ ষড়যন্ত্রের একটা অংশ কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।
এমআই