Connect with us

পুঁজিবাজার

২৫ দফা সংস্কারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে বিনিয়োগকারীদের চিঠি

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

পুঁজিবাজারের সংস্কারের জন্য ২৫ দফা দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি পাঠিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে মুশফিকুর রহমান রনি এবং প্রকৌশলী খোরশেদ আলম মিঠু এ প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। প্রস্তাবনার অনুলিপি অর্থ উপদেষ্টা ; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর; বিএসইসি, এনবিআর, এফআরসি, ডিএসই, সিএসই, আইসিবি ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে পুঁজিবাজার সংস্কারের ২৫ দফা দাবি তুলে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে জিডিপির তুলনায় বাজার মূলধনের অনুপাত উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে নিম্নতম। যা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা, এবং বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, এবং ফিলিপাইনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ১৯৯০-এর দশক থেকে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে এক প্রকার জুয়ার আসরে পরিণত করেছে। তখন থেকেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রায় ৯৭ শতাংশ কোম্পানি মূলত অস্থিতিশীল ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য বাজারে প্রবেশ করেছে। এই কোম্পানিগুলো ব্যাপক প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন বিএসইসি নেতৃত্ব, নির্বাহী পরিচালক, ইস্যু ম্যানেজার, ডিএসই বোর্ড সদস্য, অডিট ফার্ম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো।

চিঠিতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিগুলো শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করে এবং অতিরিক্ত মূল্যযুক্ত শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর চাপিয়ে দেয়। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মূল্যহীন শেয়ার নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথচ অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে পার পেয়ে যায়। এই শোষণমূলক প্রক্রিয়াটি বারবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে, যা পুঁজিবাজারের প্রতি জনসাধারণের আস্থাকে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

চিঠিতে বিনিয়োগকারীরা জানান, যারা বছরের পর বছর ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংসের সাথে জড়িত, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে পুঁজিবাজারের জন্য জরুরি এবং ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে। পুঁজিবাজারকে জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গতিশীল ইঞ্জিনে রূপান্তর করতে হবে, যা অর্থনীতির স্বার্থ এবং প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের আকাঙ্ক্ষা উভয়ই পূরণ করবে।

এছাড়া চিঠিতে ২৫ দফা সংস্কারের দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। এসব দাবিকে আবার তিন ভাগেও রূপান্তর করেন তারা। প্রথম ধাপে এক মাস, দ্বিতীয় ধাপে ছয় মাস এবং তৃতীয় ধাপে ১২ মাসের মধ্যে সংস্কার সম্পন্নের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

বিনিয়োগকারীদের যে ২৫ দফা সংস্কার দাবি

প্রথম ধাপ: এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম

১. তালিকাভুক্তির মানদণ্ড কঠোরভাবে বাস্তবায়ন:

• নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্তির নিয়ম কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধুমাত্র সেই কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণের যোগ্যতা দেওয়া উচিত, যেগুলো দৃঢ় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, শক্তিশালী গ্রাহকভিত্তি, কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ ঋণ-ইকুইটি অনুপাত প্রদর্শন করে।

• প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড, যেমন জাল আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো, নির্মূল করতে হবে। পেশাদার অ্যাকাউন্টেন্সি সংস্থা এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)-এর সহায়তায় পরিচালিত বিশেষ অডিট নিশ্চিত করবে যে, সমস্ত আর্থিক প্রতিবেদন সঠিক এবং নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে। অডিটররা কোম্পানির আর্থিক বিবৃতির নির্ভুলতা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা আইপিওর সময় বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। তাদের পেশাগত অনুমোদন আর্থিক প্রকাশনাগুলোর প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে প্রভাবিত করে। যদি অডিটররা গুরুত্বপূর্ণ ভুল, প্রতারণা বা অনিয়ম শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বড় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। তদুপরি, অডিটরদের কঠোর পেশাগত এবং নৈতিক মানদণ্ড মেনে চলা প্রত্যাশিত। তাদের দায়িত্বে অবহেলা কেবল বাজারের আস্থা দুর্বল করে না, বরং বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থার অখণ্ডতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। অডিটরদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, প্রতারণা নিরুৎসাহিত হয়, এবং সতর্কতার প্রক্রিয়াগুলো উচ্চ মান বজায় রাখতে সক্ষম হয়, যা পুঁজিবাজারের সকল অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষা করে। যদি কোনো অডিটর কোনো ইস্যুকারীর জাল আর্থিক বিবৃতি অনুমোদন করতে দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করা উচিত এবং প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

• পুঁজিবাজারে শেয়ারের প্লেসমেন্ট ব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রি-আইপিও স্টক প্লেসমেন্টগুলো বাজারের স্থিতিশীলতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রথমত, প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট প্রায়শই নির্বাচিত বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ারগুলি ছাড়কৃত মূল্যে সরবরাহ করে, যা খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অসম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে, কারণ তাদের আইপিওর সময় উচ্চ মূল্যে শেয়ার কিনতে হয়। দ্বিতীয়ত, এই ধরনের প্লেসমেন্ট প্রাথমিক স্টেকহোল্ডারদের মালিকানা হ্রাস করতে পারে, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্মচারীরাও অন্তর্ভুক্ত, যা তাদের কোম্পানির মূল্য থেকে প্রাপ্ত অংশ কমিয়ে দেয়। তৃতীয়ত, প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট প্রায়শই জল্পনামূলক আচরণকে উৎসাহিত করে, যেখানে প্রাথমিক বিনিয়োগকারীরা ছাড়কৃত মূল্যে কেনা শেয়ার আইপিও-পরবর্তী সময়ে বিক্রি করে, ফলে শেয়ারের দামের অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং জনসাধারণের আস্থা ক্ষুণ্ন হয়। এমন লেনদেনের স্বচ্ছতার অভাব শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তোলে, যা কোম্পানির সততা ও সামগ্রিক পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।

২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে, ৩৪টি কোম্পানি (২৬টি তালিকাভুক্ত এবং ৮টি তালিকাভুক্ত নয়) প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ারের চাহিদা ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের মূল্য বাড়ানো হয়েছিল। এতে বিশেষ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার লাভ হয়েছে।

২. শেয়ারের শ্রেণিবিন্যাস পুনর্বিবেচনা

• বর্তমান শেয়ার শ্রেণিবিন্যাস (এ, বি, জি, এন এবং জেড গ্রুপ) পুনর্গঠন করা উচিত।

• কোম্পানিগুলোকে জেড গ্রুপে স্থানান্তরিত করে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, বিএসইসিকে লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থতার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে তহবিলের অপব্যবহারসহ সকল অব্যবস্থাপনার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
• পুনরুদ্ধারের জন্য, জেড গ্রুপে শ্রেণিকরণ করার আগে, কম কার্যকরী কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অন্তত এক বছরের জন্য বিএসইসির একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করা উচিত।

৩. প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করা

• প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য স্বল্প-ব্যয়যুক্ত তহবিলের সুবিধা প্রদান করা উচিত। এই বিনিয়োগগুলো সহজতর করতে ডিলার কোডের মতো ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

৪. ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বাতিল

• বাংলাদেশের উদীয়মান বাজারের প্রেক্ষাপটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার লাভকর সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা প্রয়োজন।
• এই পর্যায়ে, পুঁজিবাজার লাভকর ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে কোম্পানিগুলোর ওপর আরোপ করা উচিত। বাজার যখন পরিপক্ক হয়ে উঠবে, তখন এই কর পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

৫. নেতিবাচক ইক্যুইটি সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানো

• সাম্প্রতিক বাজার পতনের পরিপ্রেক্ষিতে নেতিবাচক ইক্যুইটি সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানো উচিত।
• ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে খুচরা বিনিয়োগকারীদের আরও ঋণ প্রদান থেকে বিরত রাখা উচিত, যাতে ঝুঁকি কমানো যায় এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হয়।
• দ্বৈত কর ব্যবস্থায়, যেখানে কোম্পানির আয়ের ওপর কোম্পানি পর্যায়ে কর আরোপ করা হয় এবং পরে তা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করার সময় ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুনরায় কর আরোপ করা হয়, এটি বিভিন্ন অদক্ষতা এবং বৈষম্য তৈরি করে, যা এই ব্যবস্থার বিলোপের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। প্রথমত, এটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নিট রিটার্ন কমিয়ে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করে, যার ফলে ইক্যুইটি বিনিয়োগ অন্যান্য বিকল্পের তুলনায় কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ত, এটি ব্যবসার প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করে, কারণ এটি পুনঃবিনিয়োগ, উদ্ভাবন, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় আয়কে সীমিত করে। এছাড়াও, এটি কর্পোরেট আয়ের ওপর এক ধরনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ চাপ সৃষ্টি করে, কারণ অংশীদারি ব্যবসার মতো অন্যান্য ব্যবসায়িক কাঠামোতে একবার কর আরোপ করা হয়। করের এই দুই স্তর পরিচালনার জটিলতা ব্যবসা এবং শেয়ারহোল্ডার উভয়ের জন্য সম্মতি ব্যয় বাড়ায় এবং উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ড থেকে সম্পদ সরিয়ে নেয়। এছাড়াও, এটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে এবং ঋণ-অর্থায়নের দিকে ঝোঁক বাড়ায়, যা কর থেকে অব্যাহতি পায়, কিন্তু শেয়ার-অর্থায়নকে নিরুৎসাহিত করে এবং আর্থিক ঝুঁকি বাড়ায়। দ্বৈত কর ব্যবস্থা বাতিল করলে কর ব্যবস্থাটি সহজ হবে, বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও প্রবৃদ্ধি-বান্ধব অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি হবে। এর ফলে আরও বেশি মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।

৬. কর প্রণোদনার মাধ্যমে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করা

• শেয়ারবাজারে উচ্চমানের কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করতে, নতুন তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির জন্য কর্পোরেট করের হার অতালিকাভুক্ত কোম্পানির তুলনায় কমপক্ষে ১০% কম রাখা উচিত এবং এটি অন্তত ৩ বছরের জন্য কার্যকর হওয়া উচিত।
• এই সুবিধা পাওয়ার জন্য, তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোকে তাদের শেয়ারের কমপক্ষে ৩০% বাজারে ছেড়ে দিতে হবে।

৭. নীতিমালা সহজীকরণের জন্য একটি পলিসি কমিটি গঠন

• বিএসইসি, আরজেএসসি, এনবিআর, এফআরসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ পলিসি কমিটি গঠন করা উচিত।
• এই কমিটি নিয়মকানুনগুলো সমন্বয় ও সহজ করার জন্য কাজ করবে, যাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের মূল ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে পারে এবং শেয়ারহোল্ডারদের মূল্য সর্বোচ্চ করতে পারে।

৮. ইস্যু ম্যানেজারদের একটি প্যানেল গঠন

• অডিটরদের প্যানেলের মতো, বিএসইসিকে ইস্যু ম্যানেজারদের একটি প্যানেল গঠন করতে হবে।
• পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোকে এই অনুমোদিত প্যানেল থেকে একজন ইস্যু ম্যানেজার বেছে নিতে হবে, যাতে আইপিও প্রক্রিয়ায় গুণগতমান ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।

৯. আইপিও অনুমোদনের জন্য জনসম্মুখে পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক করা

• আইপিও অনুমোদনের আগে, বিএসইসিকে প্রায় সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি জনসম্মুখে প্রকাশনা সেশন পরিচালনা করতে হবে।

• এই সেশনে প্রচারণামূলক কার্যক্রমের খরচ (যেমন রোডশো), শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি (যেমন বুক-বিল্ডিং), এবং প্রচারণার ফলাফল সম্পর্কিত তথ্য বিশদভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে স্বচ্ছতা এবং শেয়ারের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়।

১০. ফ্লোর প্রাইস সময়কালের জন্য সুদ প্রদান:

• ২০২২ সালের জুলাই মাসের শেষে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক সূচকের পতনের কারণে বাজার সূচক স্থিতিশীল করার জন্য বিএসইসি সমস্ত শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। এই সময়ে, অনেক বিনিয়োগকারী মার্জিন লোনের সুদের কারণে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হন। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা তাদের কষ্টার্জিত মূলধন হারিয়েছেন। তাই, সরকারকে সেই সময়ে ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদ মওকুফের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা উচিত ছিল।
এই প্রস্তাবগুলো বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, এবং পুঁজিবাজারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, স্থিতিশীল এবং বিনিয়োগকারী-কেন্দ্রিক বাজারের ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ

১১. পূর্বে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিশেষ ফরেনসিক অডিট:

• প্রাক্তন বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল এবং শিবলির কার্যকালের মধ্যে তালিকাভুক্ত ১৩০টি কোম্পানির ফরেনসিক অডিট পরিচালনা করতে হবে, যাতে তাদের তালিকাভুক্তির সময় সংঘটিত অনিয়ম, কারসাজি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার উদঘাটন করা যায়।
• যেসব কোম্পানিকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দোষী প্রমাণিত করা হবে, তাদের শেয়ার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বর্তমান বাজার মূল্যে স্পন্সর ডিরেক্টর এবং ইস্যু ম্যানেজারদের দ্বারা পুনরায় কিনে নিতে হবে, যা নতুন বিএসইসি বোর্ড দ্বারা নির্ধারিত হবে।
• অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত স্পন্সর ডিরেক্টর, ইস্যু ম্যানেজার এবং বিএসইসি কর্মকর্তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

১২. খুচরা বিনিয়োগকারীদের ঋণ বাতিল এবং ঋণসুবিধা সংস্কার:

• ব্রোকারেজ ফার্ম এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো থেকে খুচরা বিনিয়োগকারীদের ঋণ প্রদান বন্ধ করতে হবে, যাতে শোষণ এবং বাজার কারসাজি প্রতিরোধ করা যায়।
• মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের (HNI) ঋণ প্রদান করবে এবং এই ঋণের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে। এর ফলে জোরপূর্বক শেয়ার বিক্রি যা বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে তা বন্ধ হবে।
• এই পদ্ধতি জল্পনামূলক লেনদেন সীমিত করবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।

১৩. শেয়ার পুনঃক্রয়ের জন্য সংশোধিত নীতিমালা:

• কোম্পানিগুলোকে কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যবহার করে শেয়ার পুনঃক্রয় করা থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য নিয়মকানুন আরও শক্তিশালী করতে হবে।
• যেসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য তাদের আইপিও মূল্যের চেয়ে ৫০% বা তার বেশি হ্রাস পায়, তাদের জন্য বাধ্যতামূলক শেয়ার পুনঃক্রয় প্রবর্তন করতে হবে, যাতে খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ন্যায্য প্রস্থান নিশ্চিত করা যায়।

১৪. বোর্ড পরিচালনা ও স্বাধীনতা বাড়ানো:

• বিএসইসি অনুমোদিত স্বাধীন পরিচালকদের একটি প্যানেল গঠন করতে হবে এবং ইস্যুকারীদের এই প্যানেল থেকে পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
• বোর্ডে স্বাধীন পরিচালকদের অনুপাত কমপক্ষে ৪০% বৃদ্ধি করতে হবে।
• কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড আপডেট করে চারটি মূল কমিটি—অডিট, রেমুনারেশন, নমিনেশন, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা—গঠন বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং এই কমিটিগুলো স্বাধীন পরিচালকদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।
• স্বাধীন পরিচালকদের প্রতি বছর বিএসইসিতে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, যেখানে কোম্পানির কার্যক্রম এবং নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে বিশদ বিবরণ থাকবে।

১৫. মিউচুয়াল ফান্ড নিয়মাবলী শক্তিশালী করা:

• বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করার জন্য যারা নিয়মের অপব্যবহার করছে এবং মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার যারা প্রত্যাশিত রিটার্ন দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
• প্রতিবেশী দেশের সফল মিউচুয়াল ফান্ড চর্চাগুলো অধ্যয়ন করে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে হবে এবং খুচরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে।
• মিউচুয়াল ফান্ড বোর্ডে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে, যারা প্রতি বছর বিএসইসিতে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেবেন।
• যারা পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই ফান্ড ম্যানেজারদের পরিবর্তন করতে হবে।
• মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারদের তালিকাভুক্ত নয় এমন শেয়ার কেনার বা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক শিল্পে তহবিল বিনিয়োগ করার জন্য বিএসইসির অনুমোদন নিতে হবে। এই ধরনের কোম্পানিগুলোর জন্য প্যানেল-অনুমোদিত অডিটরদের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক অডিট চালাতে হবে।

১৬. ফান্ড ম্যানেজারদের মাধ্যমে খুচরা বিনিয়োগ উৎসাহিত করা:

• পেশাদার ফান্ড ব্যবস্থাপনা কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য কর ও বিনিয়োগ প্রণোদনা (যেমন, উচ্চতর কর রিবেট) প্রদান করতে হবে।
• ফান্ড ম্যানেজারদের ঝুঁকিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খুচরা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে অন্তত ১৫% বা বর্তমান ঝুঁকিমুক্ত হারের চেয়ে বেশি রিটার্ন নিশ্চিত করতে হবে।

১৭. বাজার অংশগ্রহণকারীদের জন্য ১০% শেয়ারহোল্ডিং সীমা বাতিল করা:

• বোর্ডে প্রভাব বিস্তার করার জন্য বাজার অংশগ্রহণকারীদের বাধা দেয় এমন ১০% শেয়ারধারণের সীমা বাতিল করতে হবে।
• সক্রিয় অধিগ্রহণ এবং উন্নততর কর্পোরেট ব্যবস্থাপনা সক্ষম করতে বৈশ্বিক সেরা চর্চা প্রবর্তন করতে হবে (যেমন, ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের উদাহরণ)।
• স্পন্সরদের জন্য আরও দক্ষ বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যবসা বিক্রি এবং তাদের পছন্দসই শিল্পে পুনরায় বিনিয়োগ করার সুযোগ সহজতর করতে হবে।

১৮. পরিচালনা পর্ষদ এবং অডিটরদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা:

• যদি কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়, তবে একটি বিশেষ অডিটর নিয়োগ করতে হবে।
• বিশেষ অডিটরের প্রতিবেদন স্বাধীন পরিচালকদের প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করতে হবে। কোনো পক্ষ বা বৈধ অডিটরদের দ্বারা ভুল প্রতিবেদন প্রদান করা হলে, তা আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য করতে হবে।
• কোম্পানির পরিচালক এবং অডিটরদের আর্থিক বিভ্রান্তি বা মিথ্যা উপস্থাপনার জন্য কঠোর শাস্তি প্রবর্তন করতে হবে।

১৯. ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মাধ্যমে ডেটা কারসাজি প্রতিরোধ:

• শেয়ারব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবহৃত সমস্ত ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
• স্বচ্ছতা বাড়াতে ব্যাক-অফিস সফটওয়্যারগুলো বিএসইসির সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
• বিএসইসিকে কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র রিড-অনলি অ্যাক্সেস প্রদান করতে হবে, যাতে নগদ ব্যালেন্স যাচাই এবং যেকোনো অসঙ্গতি শনাক্ত করা যায়।

২০. পেশাদার হিসাববিদদের মাধ্যমে অডিট তত্ত্বাবধান শক্তিশালী করা:

• তালিকাভুক্ত কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ারব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের আর্থিক বিবৃতিগুলো নিয়মিত পর্যালোচনার জন্য পেশাদার হিসাববিদ নিয়োগ করতে হবে।
• বিএসইসিকে DVS (ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম)-এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার প্রদান করতে হবে, যাতে বর্তমান এবং সম্ভাব্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাখিল করা আর্থিক বিবৃতির সত্যতা যাচাই করা যায়।
এই পদক্ষেপগুলো মূলধন বাজারে সৎ, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে, যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং দীর্ঘমেয়াদী বাজারের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

তৃতীয় ধাপ: এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ

২১. স্পন্সর/পরিচালক হোল্ডিংয়ের ন্যূনতম সীমা বাড়ানো:

• সমস্ত আসন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য স্পনসর বোর্ডের ন্যূনতম ৫১% শেয়ার ধারণ নিশ্চিত করতে হবে, এবং বাকি ৪৯% শেয়ার প্রাথমিক পাবলিক অফারিং (আইপিও)-এর জন্য বরাদ্দ করতে হবে।
• এই পদক্ষেপ স্পন্সরদের জবাবদিহিতা বাড়াবে এবং ব্যবস্থাপনার স্বার্থকে জনসাধারণের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
• যদি জনসাধারণের বিনিয়োগকারীরা সম্মিলিতভাবে শেয়ারের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ধারণ করে, তবে যোগ্য স্টেকহোল্ডারদের কোম্পানি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার অধিকার থাকতে হবে প্রস্তাবিত নীতিমালার আওতায়।

২২. খ্যাতিমান এবং লাভজনক কোম্পানিগুলোকে বাজারে আকৃষ্ট করা:

• অনেক লাভজনক বহুজাতিক এবং স্থানীয় প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে অনাগ্রহী।
• বিএসইসিকে সরাসরি এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উদ্বেগসমূহ শনাক্ত করতে হবে এবং বাজারে অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার জন্য উপযোগী প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।

২৩. জনসচেতনতা বৃদ্ধি:

• শেয়ারবাজারকে একটি বিশ্বাসযোগ্য বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবে পরিচিত করতে এবং বিদ্যমান নেতিবাচক ধারণাগুলো দূর করতে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এই উদ্যোগের মধ্যে থাকবে: জনশিক্ষা প্রচারণা চালানো, আর্থিক সাক্ষরতা শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করা, গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করা, সহজ বিনিয়োগ পদ্ধতি প্রচলন করা, বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা, এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা (যেমন মোবাইল অ্যাপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চ্যাটবট), জনসাধারণকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে শিক্ষিত করতে এবং এটি একটি বিশ্বাসযোগ্য বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করতে কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ গঠন করতে হবে। এই উদ্যোগ বিদ্যমান নেতিবাচক ধারণাগুলো দূর করতে সহায়ক হবে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা ও আস্থা বৃদ্ধি করবে।
• স্কুলের পাঠ্যক্রমে পুঁজিবাজারের মৌলিক ধারণা, বিনিয়োগ নীতিমালা, এবং পণ্য জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে শুরুর থেকেই সচেতনতা ও অংশগ্রহণ তৈরি হয়।

২৪. বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার:

• বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেখানে সরকারি বন্ড এবং ব্যাংকগুলো প্রায় ১২% বার্ষিক রিটার্ন প্রদান করছে, সেখানে শেয়ারবাজারকে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় প্রণোদনা দিতে হবে।

• বিএসইসির করণীয়:

• বাজার থেকে জল্পনামূলক কারসাজি নির্মূল করতে কঠোর সংস্কার কার্যকর করতে হবে।
• শুধুমাত্র যেসব কোম্পানির ব্যবসার মৌলিক ভিত্তি মজবুত, তাদেরই বাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিতে হবে।
• শেয়ারবাজার থেকে বার্ষিক সম্মিলিত রিটার্ন ১৫% এর বেশি রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে, যাতে ঝুঁকি সমন্বিত আকর্ষণীয় রিটার্ন বিনিয়োগকারীদের জন্য নিশ্চিত হয়।

২৫. ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া মূল্যায়ন ও সংস্কার:

• বর্তমান ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করতে এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ রক্ষা করেছে, যা বাজারের বিশৃঙ্খলা আরও বাড়িয়েছে।

• সংস্কারের প্রস্তাব:

• বোর্ডে অপ্রাসঙ্গিক স্বাধীন পরিচালকদের সংখ্যা কমাতে হবে, যারা কার্যত কোনো অবদান রাখেন না এবং প্রায়শই বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
• শেয়ারবাজার বোর্ডে সদস্য প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে, যেখানে সদস্য ও স্বাধীন পরিচালকদের অনুপাত ২:১ রাখা হবে।
• ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়ার একটি ব্যাপক পর্যালোচনা চালাতে হবে, যেখানে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

২৫ দফা দাবি জানানোর পাশাপাশি একটি যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন বিনিয়োগকারীরা। যেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিএসইসি কর্মকর্তাদের রাখা হবে। এতে বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও শক্তিশালী হবে আশা করছে বিনিয়োগকারীরা।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে আসতে আরও ২ বছর সময় পেলো সীমান্ত ব্যাংক

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি। ফলে তালিকাভুক্ত হতে ৫ দফায় সময় চেয়েছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন।

মুখপাত্র জানান, সীমান্ত ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে থেকে মূলধন সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। এটা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ।

২০১৫ সালের ১৭ জুন সীমান্ত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ২১ জুলাই ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শিডিউলড ব্যাংক’ হিসেবে নথিবদ্ধ হয় এবং ১ আগস্ট গেজেটভুক্ত হয়। পরে বিজিবির ৪০০ কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ শেষে সীমান্ত ব্যাংকের এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়। তারপরও সীমান্ত ব্যাংক নির্ধারিত সময় পুঁজিবাজার আসতে পারেনি। এখন পঞ্চম দফায় সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ইপিএস কমেছে

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় আলোচ্য প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৮৬ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৯৭ টাকা ৭০ পয়সা।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

কর্পোরেট সংবাদ

কর্পোরেট গভর্নেন্সে স্বীকৃতি পেলো বিএটি বাংলাদেশ

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

কর্পোরেট গভর্নেন্সে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দুইটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ। এসএএফএ বিপিএ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ সেরা বার্ষিক প্রতিবেদনের (বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট) জন্য ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি’তে সিলভার অ্যাওয়ার্ড এবং ১৪তম আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ডে ‘এমএনসি ম্যানুফ্যাকচারিং’ ক্যাটাগরিতে সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।

দ্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসএএফএ) গভর্নেন্স, আর্থিক প্রতিবেদন, কমপ্লায়েন্স ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে উৎকর্ষ সাধন করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ স্বীকৃতি দেয়। আর টেকসই অনুশীলন, কর্পোরেট গভর্নেন্স ও আর্থিক অনুশাসনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিতে কাজ করে দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। শক্তিশালী কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করা এবং সাসটেইনিবিলিটি ও আর্থিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সেরা অনুশীলন বজায় রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কারগুলো অর্জন করে বিএটি বাংলাদেশ। এ অর্জন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের সাথে অংশীজনদের স্বচ্ছতা ও আস্থা আরও জোরদার করবে।

সীমান্ত ব্যাংক

এসএএফএ বিপিএ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. পি. নন্দলাল বীরাসিংহে ও এসএএফএ’র সভাপতি হিসানা করুপ্পু। অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল সৈয়দ আফজাল হোসেন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান অংশ নেন।

১৪তম আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বিজয়ীদের হাতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআর), অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। বিএটি বাংলাদেশের পক্ষে সিনিয়র কর্পোরেট ফাইন্যান্স ম্যানেজার শাহরিয়ার হাসনাইন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আতিকুর রহমান এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এই গৌরবময় অর্জন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে, বিএটি বাংলাদেশের কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই পুরস্কারগুলো আমাদের কর্পোরেট দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার প্রতি আমাদের অটুট প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। এমন স্বীকৃতি পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি, যা আমাদের কার্যক্রম ও কর্পোরেট সুশাসনের উৎকর্ষ সাধনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন। এই স্বীকৃতি বিএটি বাংলাদেশকে দেশের টেকসই উন্নয়নে আরও বৃহত্তর ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএমের সময়-স্থান নির্ধারণ

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির এজিএম আগামী ২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় গিলারচালা, গিলা বেরাইদ (১ নং সিএন্ডবি বাজার, মাস্টার বাড়ি), শ্রীপুর, গাজীপুরে কোম্পানির ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

উসমানিয়া গ্লাসের এজিএমের সময় ও স্থান নির্ধারণ

Published

on

সীমান্ত ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির এজিএম আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানির নিবন্ধিত ঠিকানা কালুরঘাট আই/এ, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম-৪২১২ এ হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার13 hours ago

পুঁজিবাজারে আসতে আরও ২ বছর সময় পেলো সীমান্ত ব্যাংক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার13 hours ago

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ইপিএস কমেছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস পিএলসি গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
কর্পোরেট সংবাদ15 hours ago

কর্পোরেট গভর্নেন্সে স্বীকৃতি পেলো বিএটি বাংলাদেশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন কর্পোরেট গভর্নেন্সে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে দুইটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছে বিএটি বাংলাদেশ। এসএএফএ বিপিএ অ্যাওয়ার্ড...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার16 hours ago

মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএমের সময়-স্থান নির্ধারণ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় ও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার17 hours ago

উসমানিয়া গ্লাসের এজিএমের সময় ও স্থান নির্ধারণ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় ও স্থান নির্ধারণ...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার17 hours ago

পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পুনরায় আবেদন করবে স্যালভো কেমিক্যাল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে নিয়ন্ত্রক...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার17 hours ago

তিন কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার18 hours ago

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ টি...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার18 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ কোম্পানির...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার18 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫ টি কোম্পানির শেয়ার ও...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার19 hours ago

২৪৮ কোম্পানির দরপতন, কমেছে লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার22 hours ago

সূচক নিম্নমুখী, দেড় ঘণ্টায় ২৪৩ শেয়ারের দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন।...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার22 hours ago

জুট স্পিনার্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জুট স্পিনার্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর বিকাল...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার23 hours ago

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের লোকসান বেড়েছে ৭৪ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত...

সীমান্ত ব্যাংক সীমান্ত ব্যাংক
পুঁজিবাজার2 days ago

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (০১ ডিসেম্বর-০৫ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০...

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
সীমান্ত ব্যাংক
রাজধানী11 minutes ago

সোমবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত9 hours ago

আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: প্রেস সচিব

সীমান্ত ব্যাংক
সারাদেশ10 hours ago

চাঁদপুর শহরে ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি10 hours ago

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু ১০ ডিসেম্বর

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত10 hours ago

এসআই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি বার্তা

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

বিসিএমইএর নতুন সভাপতি হলেন মইনুল ইসলাম

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত11 hours ago

জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

নতুন নোটে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি সংযুক্তির অনুমোদন

সীমান্ত ব্যাংক
জাতীয়12 hours ago

বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে জামায়াতের প্রতিবাদলিপি

সীমান্ত ব্যাংক
খেলাধুলা12 hours ago

অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

সীমান্ত ব্যাংক
রাজধানী11 minutes ago

সোমবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত9 hours ago

আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: প্রেস সচিব

সীমান্ত ব্যাংক
সারাদেশ10 hours ago

চাঁদপুর শহরে ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি10 hours ago

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু ১০ ডিসেম্বর

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত10 hours ago

এসআই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি বার্তা

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

বিসিএমইএর নতুন সভাপতি হলেন মইনুল ইসলাম

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত11 hours ago

জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

নতুন নোটে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি সংযুক্তির অনুমোদন

সীমান্ত ব্যাংক
জাতীয়12 hours ago

বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে জামায়াতের প্রতিবাদলিপি

সীমান্ত ব্যাংক
খেলাধুলা12 hours ago

অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

সীমান্ত ব্যাংক
রাজধানী11 minutes ago

সোমবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত9 hours ago

আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: প্রেস সচিব

সীমান্ত ব্যাংক
সারাদেশ10 hours ago

চাঁদপুর শহরে ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি10 hours ago

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু ১০ ডিসেম্বর

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত10 hours ago

এসআই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি বার্তা

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

বিসিএমইএর নতুন সভাপতি হলেন মইনুল ইসলাম

সীমান্ত ব্যাংক
আইন-আদালত11 hours ago

জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ

সীমান্ত ব্যাংক
অর্থনীতি11 hours ago

নতুন নোটে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি সংযুক্তির অনুমোদন

সীমান্ত ব্যাংক
জাতীয়12 hours ago

বিভ্রান্তিকর মন্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে জামায়াতের প্রতিবাদলিপি

সীমান্ত ব্যাংক
খেলাধুলা12 hours ago

অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন