বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ত্রুটি কমাতে সরকার চেষ্টা করছে, বই হাতে পেলেই বোঝা যাবে কতটুকু ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে পাঠ্যপুস্তকের ত্রুটি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
আজ মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের পৌর শহরের সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বছর শেষের ক্লাস পার্টির কেক কেটে উদযাপন করেন তিনি। পরে শৈশবে কাটানো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও পুরনো সেই লঞ্চঘাট ঘুরে দেখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর পাঠ্যবই ছাপানোর সময় কিছু না কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখা যায়। এবার সরকার চেষ্টা করছে নির্ভুল পাঠ্যবই বের করার। পাঠ্য বইয়ের আলোকেই শিশুদের মানসিক বিকাশ গড়ে উঠে, তাই এখানে ভুল থাকা কাম্য নয়।
স্কুলের মাঠ দখল প্রসঙ্গে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, স্কুলের মাঠে খেলাধুলা ছাড়া অন্য কিছুর আয়োজন করা ঠিক নয়। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি টিম ওয়ার্ক গড়ে ওঠে, এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাই স্কুলের মাঠে সব সময় খেলাধুলা থাকতে হবে, না হয় দখলদারিত্ব মনোভাব গড়ে উঠবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
ভর্তির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মানসম্মত লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, একটা সময় পড়াশুনা করার জন্য দুর্গম এলাকা মধ্যনগর থেকে লঞ্চে শহরের ঐতিহ্যবাহী জুবলী স্কুলে আমি আসতাম। যখন লঞ্চ বন্ধ থাকত তখন নৌকা করে আসতাম। তাই আমার মনে হয় জুবলী স্কুলসহ দেশের সকল প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বের দরবারে আমাদের তুলে ধরা উচিৎ।
কাফি