ক্যাটাগরি: জাতীয়

আদি নবান্নে ‘সাংস্কৃতিক উৎসবে’ মুখর টিএসসির পায়রা চত্বর

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ, বাংলার আদি নববর্ষ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি পায়রা চত্বরে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসব, র‍্যালি ও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অগ্রহায়ণ এলেই নতুন ধানের ঘ্রাণে মেতে ওঠে কৃষক-কৃষানীর আঙিনা। আদি বাংলার কৃষি সভ্যতার রীতি ধরেই নতুন চালের পিঠাপুলীর ধুম, নবান্ন উৎসবে আনন্দের ঢেউ পড়ে যায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।

বাঙালী সংস্কৃতির সবচেয়ে আদি ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে এ ইতিহাসের সাথে পরিচিত করাতে এ আয়োজন করা হয়। এই আনন্দ কৃষকের একার নয়। এই আনন্দ সবার।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় টিএসসি পায়রা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসবের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন দেশবরেণ্য কবি আবদুল হাই শিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা অর্থবহ করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে। হাফ ডান স্বাধীনতা থেকে আমরা পূণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি। সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে, নাটককে মোকাবেলা করতে হবে নাটক দিয়ে। আমরা যদি জাতীয় সংহতি কে সমৃদ্ধ রাখতে পারি তাহলে আমাদের কপাল সিকিমের মতো হবে না। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পাঠ্য পুস্তকে বিপ্লবের স্পিরিট তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আবৃত্তিশিল্পী ও গবেষক নাসিম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল জাহীদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর নিবাহী সদস্য এস এম বিপাশ আনোয়ার, সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আহবায়ক মিন্ময় মিজান।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি, নৃত্য, সংঙ্গীত, নাটক, যাদু প্রদশনি, পালাগান, পুথিঁপাঠ ও লালনগীতি পরিবেশন করেন দেশবরেন্য শিল্পীরা এবং বিভিন্ন সংগঠন তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেছে। নবান্ন মেলা স্টলে, পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির ধ্বনি এবং দশকদের অংশগ্রহণে পহেলা অগ্রহায়ণে মুখর হয়ে উঠেছিল টিএসসির পায়রা চত্বর।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার