চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অনিশ্চয়তা যেন কাটছেই না। কোথায় হবে, কখন হবে, সব দল অংশ নিবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান চালিয়ে যাচ্ছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। অতীতে পাকিস্তান বারবার ভারতের চাওয়া, চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সমঝোতায় অংশ নিলেও এবার বেঁকে বসেছে। ভারতও তাদের কথায় অনড়। এতসব অনিশ্চয়তার মাঝে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অফিশিয়াল ট্যুর শুরু করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। গতকাল (১৪ নভেম্বর) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পৌঁছেছে ট্রফিটি।
আগামী ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে থাকবে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। দশদিনের সফরে ট্রফিটি পাকিস্তানের মুরি, হুনজা, মুজাফফরাবাদ এবং স্কারদুতে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরের অংশ হিসেবে আরোহণ করবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচুঁ পাহাড় ‘কেটু’। তবে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে যাওয়া লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে যাচ্ছে না ট্রফিটি। বায়ুদূষণের মুখ্য কারণের পাশাপাশি অন্য শহরগুলোকে পর্যটনমুখী করতে এমন চাল চেলেছে পিসিবি এবং পাকিস্তান সরকার।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া সব দেশেই পর্যায়ক্রমে প্রদর্শিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বাংলাদেশে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রফির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবি আশা করছে, ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই অভিজ্ঞতা হবে অনন্য এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের উচ্ছ্বাস বাড়বে।
তবে ট্রফির ভ্রমণ শুরু হয়ে গেলেও টুর্নামেন্টের সূচি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক গলার কাঁটা হয়ে ওঠা ভারতই এর মূল কারণ। নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত এখনো পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ভারতের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলও প্রত্যাখান করেছে পাকিস্তান। এমনকি এবারের পুরো আসর শেষমেশ পাকিস্তানে আয়োজিত না হলে বয়কটের হুমকিও দিয়ে রেখেছে দেশটি। তবে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বল এখন আইসিসির কোর্টে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমঝোতায় মনযোগী ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আইসিসির মুনাফার বড় একটা অংশ। নিজেদের কোর্টের বল কোনভাবে গতিপথ মিস করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হবে আইসিসির। আবার উভয় দল সমঝোতায় না ফিরলে ভেন্যু পাল্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়ারও গুঞ্জন উঠেছে। অবশ্য এতসব গুঞ্জনের সূত্র উভয় দেশের গণমাধ্যম। তাতে কড়া বাক্য বিনিময় হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোন দাবি জানায়নি ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত যদি আনুষ্ঠানিকভাবে চুপ থাকে ভারত, তবে নিয়মিত সূচি আর ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর।
এমআই