সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় করতে হবে

সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় করতে হবে
সমন্বিত উন্নয়নের জন্য সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় অপরিহার্য। এছাড়া চট্টগ্রামে শিল্পায়নের স্বার্থে টেকসই সড়ক নির্মাণ, বহদ্দারহাট থেকে ইপিজেড পর্যন্ত পর্যাপ্ত ফুটওভার নির্মাণ, কনটেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলপথে ও নদীপথে যোগাযোগ উন্নয়ন, সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বা পিপিপির আওতায় জেটি নির্মাণ, মিরসরাইয়ে এসএমই খাতের জন্য আলাদা জোন তৈরি করা, চট্টগ্রাম মহানগর ও মহানগরের বাইরে প্রয়োজনীয় বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, রিং রোডের সঙ্গে ইপিজেডের সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উন্নয়নের জোনভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ, জাতীয় পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমন্বয় সেল গঠন করা, সিটি করপোরেশন, সিডিএ ও ওয়াসার সম্মিলিতভাবে চৌচালা হয়ে রিং রোড সংযোগ সড়কের সমাধান, পাহাড়ি ছড়া ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রামের উন্নয়ন, শিল্পায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থ্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা, লজিস্টিক ও অন্যান্য সুবিধা কাজে লাগাতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য বিবেচনা করতে হবে এবং একই সঙ্গে উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে হালদা নদী থেকে পানি নিয়ে মিরসরাই অঞ্চলে সরবরাহ করা হলে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননের ক্ষেত্রে কোনো রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বৃষ্টি ও কাপ্তাই হ্রদ থেকে নেমে আসা পানি সরাসরি সাগরে চলে যায়। এই পানি সংগ্রহ করে শিল্পায়নে ব্যবহার করা হলে তা মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১২০ কোটি লিটার পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিকল্প উৎস থেকে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হবে।

সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মেরিন ড্রাইভকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। হালদা নদী থেকে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে কীভাবে শিল্পের জন্য পানি সংরক্ষণ করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, মিরসরাই শিল্পনগর, সীতাকুণ্ড, ফেনী, নোয়াখালী শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি সন্দ্বীপেও ১৩ হাজার একরজুড়ে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে, যা পর্যায়ক্রমে লাকসাম-কুমিল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। মিরসরাই জোন থেকে ৩০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ বেজা বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামীতে ১০টি বন্দরের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বেজার মাধ্যমে ৩২টি সেবা একযোগে দেয়া হয়। হালদা, কর্ণফুলী ইত্যাদি নদী বাঁচানো, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং একই সঙ্গে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ইত্যাদি কর্মকাণ্ড একসঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।

অর্থসংবাদ/ এমএস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি