ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ট্রাম্প (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যে মন্তব্য করেছেন, এটা আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে। কারণ, আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যাঁরা আছি, তাঁরা মনে করি, সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত। ফলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন ধরনের যে অভিযোগ আমরা শুনি, আমরা এ কথাগুলোর সঙ্গে একমত নই।
ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টার আয়োজিত আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’–এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বাংলাদেশ হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলেন, হয়তো মি. ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি ও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে এ দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের ধর্ম, ব্যবসা, রাজনৈতিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কেউ যদি কারও কোনো উপাসনালয় অপবিত্র করতে চায়, আমরা মনে করি তারা কোনো ধর্মের লোক নয়, তারা অপরাধী। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।
খালিদ হোসেন আরও বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, এ দেশের যাঁরা নাগরিক, নানা ধর্মাবলম্বী আছেন, প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, ব্যবসায়িক অধিকার আছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের পূজা–পার্বন উৎসবগুলো গেল, তাঁদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। এগুলো সরকারের বিবেচনায় আছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা মনে করি সহনশীলতা না থাকলে আমরা সুন্দর, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব না। বিভেদ কমিয়ে পারস্পরিক সম্মান, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতির আবহ যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
এমআই