এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডের চিফ বিজনেস অফিসার পদে সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন কামরুল হাসান। এর আগে তিনি বিজনেস ডিরেক্টর হিসেবে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পোর্টফোলিও তত্ত্বাবধান করেছেন। বর্ণাঢ্য ২৫ বছরের কর্মজীবনের মধ্যে ২২ বছর এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডে নানা অবদান রেখেছেন তিনি।
কামরুল হাসান পোর্টফোলিওকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বহুমুখীকরণেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। লবণ শিল্পে তার অবদানের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত, বিশেষ করে ভ্যাকুয়াম-ইভাপোরেটেড লবণ প্রতিষ্ঠায়। তার প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক কৌশল এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ শিল্পে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে কামরুল হাসান বাংলাদেশের সফট ড্রিঙ্কস বাজারে ভার্জিন ড্রিঙ্কস স্লিম ক্যান চালু করেন, যা কোমল পানীয় শিল্পের জন্য একটি বিপ্লবী সূচনা ছিল।
এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশের প্রথম শতভাগ বিশুদ্ধ ভ্যাকুয়াম-ইভাপোরেটেড লবণ হিসেবে এসিআই পিওর সল্ট বাজারে নিয়ে আসেন, যা ভোক্তাদের জন্য এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে। স্যাভলন অ্যান্টিসেপ্টিক, ওয়ান্ডার ডিশওয়াশিং, স্মার্ট ওয়াশিং পাউডার, শাইনেক্স ফ্লোর ক্লিনার, সেপটেক্স বার সাবান, ফ্রিডম স্যানিটারি ন্যাপকিন, টুইঙ্কল বেবি ডায়াপার, এসিআই সুগার, কোলগেট, স্পার্কল লাইটস এবং ডুলাক্স পেইন্টসের মতো ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, যা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে তার দক্ষতাকে প্রমাণ করে।
কামরুল হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তার গভীর দক্ষতা রয়েছে, যা তিনি ভারতের আইআইএম কলকাতা এবং যুক্তরাজ্যের কমন পারপাসের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।
এমআই