ক্যাটাগরি: কর্পোরেট সংবাদ

বেসিসের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান সংস্কার পরিষদের

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনকে প্রত্যাখ্যান করতে পথে নেমেছিল ছাত্র-জনতা। জুলাই-আগস্টে আন্দোলনরত এ জনতাকে দমন করতে গণহত্যা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া, গণগ্রেফতার ইত্যাদি চালিয়েছিল বিগত সরকার। স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন দেওয়া বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের (বেসিস) কার্যনির্বাহী পরিষদের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেসিস সংস্কার পরিষদ।

বেসিস সংস্কার পরিষদের পক্ষে মুখপাত্র ফৌজিয়া নিগার সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। সেই সঙ্গে বেসিসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সংস্কার কমিটি গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী দুঃশাসনে মানুষ যখন অতিষ্ঠ, গণহত্যার প্রতিবাদে দেশ-বিদেশের মানুষ উচ্চকিত, তখন তৎকালীন সরকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল তাদের টিকে থাকার স্বার্থে। এসময় শেখ হাসিনা সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) তার কার্যালয়ে আয়োজন করেছিল ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে মতবিনিময় সভা। যেখানে বেসিসের সদস্য কোম্পানিরা তাদের জনশক্তিদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে হোম অফিস দিয়েছিল, সেখানে বেসিস কার্যালয়ে সশরীরে প্রোগ্রাম করে বেসিস নেতৃবৃন্দের চাওয়া ছিল বিশ্বদরবারে দেখানো যে বাংলাদেশে কিছুই হচ্ছে না।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হয়েছিল। সে নির্বাচনে সালমান ও পলকের আশির্বাদ নিয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় বসেছিল বর্তমান ইসি।

গত ৫ আগস্ট গণঅভুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন যাত্রা শুরু হয়। মানুষ যে কোনো বিষয়ে মুখ খুলে সমালোচনা করতে পারে। ফলে বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকে বেসিস সংস্কার পরিষদের ব্যানারে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সালমান ও পলকের আশির্বাদের জিতে আসা বর্তমান ইসির পদত্যাগ দাবি করে এ পরিষদ।

সংস্কার পরিষদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে বেসিসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ এবং সহ-সভাপিত (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান পদত্যাগ করেন।

বেসিস সংস্কার পরিষদ থেকে জানানো হয়, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বেসিসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যই পদত্যাগ করবেন। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি, জয়-সালমান-পলকের আশির্বাদে জিতে আসা সদস্যরা পদত্যাগ না করে কার্যনির্বাহী পুনর্গঠিত করেছেন। ৩ আগস্ট ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে প্রোগ্রামের মঞ্চে থাকা ব্যক্তিরাই নেতৃত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন। আইসিটি ডিভিশনে সালমান এফ রহমানের পার্টনার হয়ে কাজ করা ব্যক্তি এম রাশিদুল হাসান বেসিসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। বেসিসের মত একটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের হাতে থাকলে তা দেশের অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করে সংস্কার পরিষদ।

আমরা বেসিসের পুনর্গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছি। বেসিসের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিলুপ্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার